রংপুরে ৮১ ভাগ স্কুলের পাশে বিক্রি হয় তামাকপণ্য

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-18 18:19:55

রংপুর বিভাগের আট জেলায় শতকরা ৮১ ভাগ স্কুল ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে সিগারেটসহ তামাকপণ্য বিক্রি হয়। এসব স্কুলের পাশে ক্ষুদ্র মুদির দোকান রয়েছে ৪৮ ভাগ। আর রাস্তার পাশে তামাক পণ্যের দোকান ৯ ভাগ এবং ভ্যানের ওপর ফেরি করে তামাকপণ্য বিক্রি করা ৪২ ভাগ দোকান পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে রংপুর লার্নি এন্ড রিসার্চ সেন্টারে ‘বিগ টোব্যাকো টিনি টার্গেট’ এর ‘গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

শিশুদের প্রতি তামাক কোম্পানির বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৭ সালে ‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স’ এর সহায়তায় ঢাকা আহছানিয়া মিশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, ইপসা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এবং উবিনিগ যৌথভাবে এই গবেষণা জরিপটি পরিচালনা করে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রংপুর বিভাগে ৯৭ ভাগ তামাকপণ্যের দোকানে শিশুদের দৃষ্টি সমান্তরালে (আনুমানিক ১ মিটার) তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শিত হচ্ছে। চকলেট এবং খেলনার পাশে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে দেখা যায় ৮৯ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে।

রংপুর বিভাগের স্কুল ও খেলার মাঠের পাশে ৯২ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে তামাকের বিজ্ঞাপন পরিলক্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭ ভাগ স্টিকার/ডামি প্যাকেট/ফেস্টুন/ফ্লায়ারস এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়েছে। আর ৩ ভাগ পরিলক্ষিত হয়েছে পোস্টারের বিজ্ঞাপন। এছাড়া রংপুর বিভাগের ১০০ ভাগ দোকানে একক শলাকা সিগারেট বিক্রি হয় বলে গবেষণার ফলাফলে দেখানো হয়েছে।


‘ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাকো ফ্রি কিড্স’র সহযোগিতায় রাজশাহীর উন্নয়ন সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ভেলপমেন্ট-এসিডি’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপ-পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকগণ ছাত্রদের জন্য মডেল। কিন্তু প্রায়ই আমরা লক্ষ্য করছি, তারা ছাত্রদের সামনে প্রকাশ্যে পান, সিগারেট, জর্দ্দা ও গুল সেবন করেন। এটি শিক্ষার্থীদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। আমি শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করছি।’

রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহরিনা দিলরুবা, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির রংপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. আতিয়ার রহমান প্রামাণিক, রংপুর সিটি করপোরেশনের স্কুল পরিদর্শক শ্রী দেবব্রত কুমার শর্মা, এসিডির পরিচালক (প্রোগ্রাম) শারমিন সুবরীনা, এসিডির অ্যাডভোকেসি মো. শরিফুল ইসলাম শামীম।

গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন এসিডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শাহীনুর রহমান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর