বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, ফলে বাংলাদেশে দিনদিন দুর্নীতি কমছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (২৭ মে) অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন (ইউএনসিএসি) এর বাস্তবায়ন পর্যালোচনা পর্বের দশম অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন। ২৭ থেকে ২৯ মে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এ সম্মেলন চলবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ইউএনসিএসি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের নিজস্ব বহু আইন আছে। ইউএনসিএসি বাস্তবায়নে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০১৩ সালের সংশোধনীসহ), সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯: তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯: মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২: সরকারি ক্রয় আইন, ২০০৬ সহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদাহরণ রয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য অধিকার কমিশন গঠনসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ৯টি মেট্রোপলিটন শহর, ৬২টি জেলা এবং ৪২১টি উপজেলায় নাগরিক সমাজের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সততা কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এ ধরণের কমিটি সারা দেশের স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গঠন করা হয়েছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং ইউএনসিএসি- এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য আইন পুনর্গঠন-সংশোধন, ব্যবহারিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, দুর্নীতি বিষয়ে গবেষণা ও পরিবীক্ষণ, দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালার কৌশলগত উন্নয়ন, অনুসন্ধান, তদন্ত, দুর্নীতির শাস্তি ও নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতা প্রয়োজন। মন্ত্রী দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ২০০৭ সালে জাতিংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনে সমর্থনের মাধ্যমে সদস্যরাষ্ট্র হয়।
সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ছাড়াও আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নিয়েছেন।