হালদা নদী থেকে সংগৃহীত মা মাছের ডিম থেকে প্রায় এক কোটি টাকার রেণু ফুটেছে। মাছের ডিম থেকে দুই থেকে তিন দিনের দিনের মধ্যে এ রেণু ফুটানো হয়। এবার সাত হাজার কেজি ডিম থেকে ১২০ কেজি রেণু উৎপাদিত হয়েছে। একদিন বয়সের রেণু সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
হালদার গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘জেলেদের প্রাপ্ত মা মাছের সাত হাজার কেজি ডিম থেকে ১২০ কেজি রেণুর উৎপাদন হয়েছে। একদিনের রেণু ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। রেণুর বয়স দুই বা তিন দিন হয়ে গেলে দামটাও আর একটু কমে যায়। কারণ তখন রেণু বড় হয়ে যায়।’
জানা যায়, এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে শনিবার (২৫ মে) সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ডিম আহরণকারীরা ডিম সংগ্রহ করেন। রোববার সকাল থেকে রেণু ফুটানোর কাজে ব্যস্থ হয়ে পড়েন জেলেরা। বিশেষ প্রক্রিয়ায় সরকারি হ্যাচারি ও ব্যক্তিগত কুয়ায় রেণু ফুটিয়েছেন জেলেরা।
হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারী সুনীল জলদাস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমার প্রাপ্ত পাঁচ বালতি ডিম থেকে দেড় কেজির মতো রেণু হয়েছে। এখান থেকে কিছু রেণু আজ (মঙ্গলবার) ৯০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করেছি।’
হালদা নদীর রামদাশ হাট ঘাটের রতন মাঝি বলেন, ‘আজকে ৮০ হাজার টাকায় রেণু বিক্রি করেছি। কিন্তু আগামীকাল হলে এ দামটা আর পাওয়া যাবে না। তখন রেণু আর একটু বড় হবে, বয়স বাড়বে।’
হাটহাজারী উপজেলার নির্বাচনী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, ‘মা মাছের ডিম সংগ্রহ করে জেলেরা সন্তুষ্ট। অনেকেই আশানুরূপ টাকা পাচ্ছেন রেণু বিক্রি করে।’
তিনি বলেন, ‘ডিম কম অথবা বেশি পাওয়া যায় প্রাকৃতির পরিবেশের উপর ভিত্তি করে। কারণ প্রচুর বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল থাকলে আরও বেশি ডিম পাওয়া যেত। এবার তা হয়নি। তাই ডিম একটু কম পাওয়া গেছে। তবে যা পেয়েছে তাতে জেলেরা সন্তুষ্ট।’