তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির আমলে খাদ্য ঘাটতির সময় তারা বলেছিল এদেশের মানুষ বেশি ভাত খায়। সেটি ছিল নির্মম তামাশা। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অতিক্রম করে আমরা চাল রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি। এ বছরও ১০ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল রফতানি করবে বাংলাদেশ।'
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদের কারণে এবার রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। দলের নেতাকর্মীদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে ঈদেও অসাধু কোনো ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি না করতে পারে।'
মন্ত্রী বলেন, 'সমালোচনাকে আমরা সমাদৃত করি, কিন্তু অন্ধ ও অসদুদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না। একটা গোষ্ঠী সবসময় সমালোচনা করার জন্যই সমালোচনা করে। ধানের দাম এক সপ্তাহের জন্য পড়ে গিয়েছিল, এখন তা ঠিক হয়ে গেছে, সরকারি কর্মকর্তারা কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনছেন। ধানক্ষেতে সাজানো আগুন লাগানোর ঘটনাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।'
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে আওয়ামী নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অ্যাড. বলরাম পোদ্দার আলোচনায় অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী এরপরই কাকরাইলে রাজমণি ঈশা খাঁ হোটেলে ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির ইফতারে যোগ দেন ও সমিতির সভাপতি শেখ মামুন, সাধারণ সম্পাদক এস এম বাবুল, বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখের সাথে মতবিনিময় করেন।