শেরপুর (বগুড়া) থেকে: ঈদ আসতে আর আরও বাকি প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন। ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ঘরমুখো মানুষ আর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে শেরপুরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এরই মধ্যে যানজট শুরু হয়েছে।
যানজট নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে আগে থেকেই নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও আশ্বাসের কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার শেরপুর অংশে। ঈদযাত্রার এই ভোগান্তির লাগাম টানতে শত চেষ্টা বিফল হচ্ছে।
ঈদ উপলক্ষে সামান্য পরিমাণে রাস্তার সংস্কার করা ছাড়া যানজট প্রবণ এই এলাকাটিতে রাস্তার ভোগান্তি নিরসনে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
প্রতিবারের মতো এ বছরও শেরপুরে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় রয়েছে আগের মতই অব্যবস্থাপনা। ঘণ্টাব্যাপী ভোগান্তির যন্ত্রণা থেকে যাত্রীদের মুক্তি দিতে সামান্য রাস্তার সংস্কার করা ছাড়া তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে বিগত বছরগুলোর মতো এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার (৩১ মে) বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের এক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তায় প্রায় ৫টি স্থানে বড় বড় বাস ও ট্রাক লেন পরিবর্তন করছে। এর ফলে মিনিটের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে গাড়ির লম্বা লাইন। মহাসড়কের এক তৃতীয়াংশ জায়গা দখল করে আছে সিএনজি, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা। আর এসব যানবাহনের কারণে যানজট লেগে আছে। শেরপুরে ওপর দিয়ে বগুড়া ও রংপুর বিভাগে যাতায়াতকারী সব ধরনের যানবাহনকে ঈদ যাত্রায় লম্বা যানজটে পড়তে হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, স্বাভাবিক সময়ে শেরপুর থেকে বগুড়া যেতে সময় লাগে ৩০ মিনিট আর রংপুর যেতে লাগে এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট। কিন্তু রাস্তায় অ-ব্যবস্থাপনা থাকায় ঈদের সময় বগুড়া যেতে সময় লাগে ২-৩ ঘণ্টা আর রংপুর যেতে লাগে ৫-৬ ঘণ্টা। এবারও এর ব্যতিক্রম দেখছেন না তারা।
এ বিষয়ে শেরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী মো.নওশাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, শেরপুরের রাস্তার একমাত্র সমস্যা দখল। রাস্তার দখলের কারণে ঈদ যাত্রার সময় ২-৩ ঘণ্টা এক চুলও গাড়ি নড়ে না। এবারও এই সমস্যার সমাধান করা হয়নি। ফলে আমরা আশঙ্কা করছি আগামীকাল থেকে লম্বা জটলা শুরু হবে শেরপুরে।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাস্তায় অল্প পরিমাণে পিচ ঢালাই করা ছাড়া শেরপুরে আর কিছু দেখা যায়নি প্রশাসনের কাজ। রাস্তার অবৈধ পার্কিং ও দখলের বিরুদ্ধেও কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে না শেরপুরে। ফলে ভোগান্তিই অপেক্ষা করছে এ পথের যাত্রীদের।