এক বছর বয়সেই আরজিনার বাবা মারা গেছেন। তাই বাবার কাছ থেকে কোনো ঈদের নতুন জামা নেয়া হয়নি ওর। মা গৃহকর্মী হিসেবে পাওয়া আয় দিয়েই চলে চার সন্তানের সংসার। গত ঈদে তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শুধু একজনেরই শরীরে জড়িয়েছে ঈদের নতুন কাপড়।
বাকিরা পুরনো কাপড়ে ঈদ পার করেছে। কিন্তু এবার সবার হাতেই ঈদের নতুন জামা। এতে আনন্দে আত্মহারা ছয় বছরের আরজিনা ও তার তিন বড় ভাই। আনন্দের সীমা নেই অসহায় মা আমেনারও।
আরজিনাদের মতো আনন্দ উচ্ছ্বাসে রংপুরের দেড় শতাধিক অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু। তাদের ঈদের নতুন পোশাক আর হাত রাঙাতে মেহেদি তুলে দিয়েছে ফেসবুক ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরাই পাশে রংপুর’।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে রংপুর মহানগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে এসব ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আমার স্বপ্ন রংপুর মহানগরীকে শিশুবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তোলা। এই নগরে কোনো শিশু সুবিধা বঞ্চিত থাকবে না। সব শিশুই স্কুলে যাবে। সবাই পড়ালেখা করবে। শিশু হিসেবে তার মৌলিক সুযোগ সুবিধা পাবে। একদিন এই স্বপ্ন পুরণ হবে।’
‘আমরাই পাশে রংপুর’এর সদস্য ও বার্তা২৪.কম এর রংপুর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ফরহাদুজ্জামান ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন,
রংপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, নাট্যকার জিএম নজু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সরকার মাজহারুল মান্নান, রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ সভাপতি শফিউল করিম শফিক, প্রচার সম্পাদক বাদশাহ্ ওসমানী, ইঞ্জিনিয়ার রেজয়ান, তরুণ উদ্যোক্তা রবিন্দ্রনাথ রায়, আমরাই পাশে রংপুর গ্রুপের আল-আমিন সুমন, কাইফুল ইসলাম, নামিরা জান্নাত, শারমিন আক্তার অরর্থী, ইমন, রবি, ধ্রুব, রাইম, টিটু, সামিয়া, মুকুল, মেরাজ প্রমুখ।