‘পাঞ্জাবি লন খালি ৩০০, শার্ট লন ২৫০'

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 09:07:24

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে হকার অনবরত ডাকছেন, ‘পাঞ্জাবি লন খালি ৩০০, শার্ট লন ২৫০।’ হকারের এমন ডাকে ভ্যাপসা গরমেও পথ চলতে থাকা কেউ কেউ থমকে দাঁড়ান। ফুটপাতের ওপর বিছানো স্তূপ থেকে তুলে নেন কাপড়। উল্টে পাল্টে দেখে পছন্দ হলে তারা কিনছেন, না হলে আবার রেখে দিচ্ছেন। 

শনিবার (১ মে) বিকেলে সাইন্সল্যাব মোড়ের পাশের গ্লোব শপিং ল্যাব সেন্টারের সামনে ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকানে ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

ওই এলাকার নূরজাহাজান মার্কেট থেকে শুরু করে সাইন্সল্যাবের মোড় পর্যন্ত ফুটপাতে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। পাঞ্জাবি, সালোয়ার, শার্ট, গেঞ্জি, টি-শার্ট, ট্রাউজার, বাচ্চাদের পোশাক, ফ্রক এসব পণ্যই বিক্রি করা হচ্ছে এখানকার ফুটপাতগুলোতে। হকাররাই ফুটপাতের দুই তৃতীয়াংশ জায়গা দখল করে নিয়েছেন। তাই হাঁটার জায়গাটুকুও নেই। বিকল্প পদ্ধতি, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আবার কানে বাজে হকারদের ডাক, 'খালি তিন শ', 'খালি দুই শ'।

কাপড়ের স্তূপ থেকেই পছন্দের কাপড়টি বেছে নেন ক্রেতারা, ছবি: বার্তা২৪.কম



এদিকে, ঈদের বাকি আর কয়েকটা দিন। তাই বেচাকেনা নিয়ে যেখানে খুশি থাকার কথা থাকলেও উল্টা চিত্র দেখা গেল ফুটপাতের এসব দোকানে।

বিক্রেতা মেহেদী বার্তা২৪.কমকে বলেন, `দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো কিন্তু কাস্টমার দামও জিগায় (জিজ্ঞেস) না, শুধু নেড়েচেড়ে দেখে তারপর রেখে চলে যায়।’

তার মতে, এবারেরর ফুটপাতের বেচাকেনায় মন্দাভাব গেছে। মানুষ আর আগের মতো ফুটপাত থেকে কাপড় কেনেন না।

ফুটপাট দখল করে এভাবেই কাপড় বিক্রি করছেন হকাররা, ছবি: বার্তা২৪.কম



একই কথা হকার ওয়াসিমেরও। ছোটদের পোশাক নিয়ে দোকানে বসেছেন তিনি। বলেন, 'সারাদিনে (কেবল মাত্র তখন বিকেল) মাত্র ৫ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়েছে। ঈদ বাজারে ৫ হাজার টাকা, কোনো টাকা।'

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাপড়, নকশা ও মানভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় পাঞ্জাবি, ২০০-২৫০ টাকায় শার্ট, বাচ্চাদের পোশাক ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব পোশাকের মান যেমন তেমন দেখতে কিন্তু খুব নজরকাড়া।

ফুটপাত থেকে কাপড় কিনছিলেন রুবেল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ফুটপাতে যারা আসেন তারা মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ। কিন্তু এখানেও সব কিছুর দাম বেশি, তাই মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর