মহাসড়কে অবাধে চলছে অবৈধ থ্রি-হুইলার

রংপুর, জাতীয়

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-09-01 23:56:38

ঈদ এলেই মহাসড়কে বাড়ে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা। বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে অবৈধ বিভিন্ন থ্রি-হুইলারের (তিন চাকার যানবাহন) সংখ্যা।

ঈদের ছুটিতে অনেকে বাড়ি ফিরেছেন। এজন্য রংপুরে বেড়েছে লোক সমাগম। বাড়তি যাত্রী পরিবহনে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত রিকশা ও অটোরিকশা।

শনিবার (১ জুন) দুপুরে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের ইকরচালি থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বেপরোয়াভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে এসব যানবাহন। অথচ ঈদের সময় মহাসড়কে ওভারটেকিং ও পাল্লা দেওয়ায় দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে। একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে রংপুর-কুড়িগ্রাম ও রংপুর-ঢাকা মহাসড়কেও।

জেলার প্রতিটি মহাসড়কেই অবাধে চলাচল করছে এসব যানবাহন। আইনের তোয়াক্কা করছেন না চালকরা। আবার কোথাও কোথাও প্রশাসনকে ম্যানেজও করছেন তারা। অথচ ওই সব যানবাহনকে মহাসড়কে সাইড দিতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এবং মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার ২০১৭ সালে দেশের ২২টি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রংপুর-ঢাকা, রংপুর-দিনাজপুর ও রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কও রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর কিছুদিন মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে আবারও চলাচল শুরু হয়।
রংপুর-তারাগঞ্জ মহাসড়কে কথা হয় অটোরিকশার চালক খলিল বাদশার সঙ্গে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে পুলিশ বেশি ঝামেলা করত। তখন কয়েকদিন পর পর মহাসড়কে গাড়ি নিয়ে উঠতাম। এখন তেমন সমস্যা হয় না। কোনো কিছু হলে সমিতির নেতারা তো আছেনই।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহেল বাকী বার্তা২৪.কমকে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে। যেখানে চেকপোস্ট বসানো হয়, চালকরা সেখান দিয়ে খুব একটা চলাচল করে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ হাইওয়ে ফাঁড়ি, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশসহ অন্যান্য হাইওয়ে পুলিশ নিজ নিজ এলাকায় মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধে তেমন জোরালো ভূমিকা রাখছে না।

এদিকে, ঈদের সময় মহাসড়কে ভারি যানবাহন চলাচল যে হারে বেড়েছে, তাতে নিষিদ্ধ তিন চাকার বাহনগুলো বন্ধ করা না গেলে দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়তে পারে বলে মনে করছে রংপুরের সচেতন মহল।



সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর মহানগর সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বার্তা২৪.কমকে বলেন, রংপুরের তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা। রংপুর-দিনাজপুর ও রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে বিভিন্ন সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষ এতে হতাহত হয়েছেন। তাই মহাসড়ক নিরাপদ করতে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর