আপন দুলাভাইয়ের (ভগ্নীপতি) হাতে অপহরণের শিকার হওয়া পাঁচ বছরের শিশু আশিককে উদ্ধার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবিকারী রনি ইসলাম ও শাহিন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আরপিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ছাগল চুরির মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর গত ৩০ মে জামিনে মুক্তি পান আশিকের দুলাভাই রনি ইসলাম। আসন্ন ঈদে মার্কেট করতে ও কারাগারে খরচ হওয়া টাকা তুলতে অপহরণের পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে গত ১ জুন রংপুরে তার শ্বশুড় বাড়িতে বেড়াতে আসেন সে। সেখান থেকে তার পাঁচ বছরের শিশু শ্যালককে ঘুরতে নিয়ে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন রনি। পরে ফিল্মি স্টাইলে শিশু আশিককে আইসক্রিম ও চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে তার সহযোগী শাহিন মিয়ার হাতে তুলে দেন।
কমিশনার আবদুল আলীম বলেন, ‘ওইদিন সন্ধ্যায় রনি ইসলামের পরামর্শে শিশু আশিককে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে নিয়ে যান মুক্তিপণ দাবিকারী শাহিন মিয়া। সেখান থেকে অপহৃত শিশুর পিতার কাছে মোবাইল ফোনে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সে। এসময় রনি তার শ্বশুড়বাড়িতে অবস্থান নেন।’
এ ঘটনার পরের দিন অপহৃত শিশুর পিতা কাল্লু মিয়া তাজহাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর আরপিএমপি পুলিশ ও নীলফামারীর সৈয়দপুর থানা পুলিশের সহযোগিতা এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সৈয়দপুরের মোজার মোড় নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এসময় মুক্তিপণ দাবিকারী শাহিন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী রনি ইসলামের ব্যাপারে তথ্য দেন। পরে পুলিশ রনি ইসলামকে রংপুর থেকে গ্রেফতার করেন। তাদের দুজনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করেছে পুলিশ।