বাংলাদেশ ও চীনের সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে দুই দেশ উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
দুই দেশের সংসদ সদস্যদের মধ্যে সফর বিনিময় আইন প্রণয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি।
সোমবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝুও।
চীন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে এসময় স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার করা হবে। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার চীন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান। তিনি এ সময় এমন সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও অনুরোধ জানান।
দু’বার চীন সফরের স্মৃতিচারণ করে স্পিকার বলেন, আমার চীন সফরের সময় ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চীনের স্পিকার আমাকে বেইজিংয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন বেশ আন্তরিক। ভবিষ্যতে দুই দেশের সংসদ সদস্যদের সফর বিনিময়ে এ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সব দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গুণ ও জনগণের প্রতি ভালবাসার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আগামীতে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চীনের ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সফর করবেন বলে স্পিকারকে জানান চীনের রাষ্ট্রদূত। স্পিকার ভাইস চেয়ারম্যানের সফরকে স্বাগত জানিয়ে তাকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে আইন প্রণয়নসহ সংসদীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে উভয় দেশই উপকৃত হবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত। শিগগিরই বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের পরিচালক ঝেং তিয়ানঝু এবং সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।