মিয়ানমার-বাংলাদেশের সমঝোতায় কি আছে

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩ | 2023-08-24 12:17:31

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিরসনে ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতাকে চুক্তি বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে অ্যারেঞ্জমেন্ট। দু'দেশের স্বাক্ষরিত এই দলিলে উল্লেখিত কিছু শর্ত:  ৯ অক্টোবর ২০১৬ ও ২৫ আগস্ট ২০১৭ এর পরে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী 'বাস্তুচ্যুত রাখাইন রাজ্যের অধিবাসীদের' ফেরত নেবে মিয়ানমার। দলিল স্বাক্ষরের দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।  সমঝোতা দলিল স্বাক্ষরের তিন সপ্তাহের মধ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে এবং মাঠ পর্যায়ে প্রত্যাবাসনের শর্তাবলী চূড়ান্ত করা হবে।  দু'পক্ষই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা UNHCR-এর সহায়তা নিতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশ এখনই এই সংস্থাটির সহায়তা পাবে। মিয়ানমার প্রয়োজন অনুযায়ী UNHCR কে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করবে।  প্রত্যাবাসনকারীদের নাগরিকত্ব পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবে। ১৯৯২ পরবর্তী প্রত্যাবাসন চুক্তি এক্ষেত্রে যাচাই প্রক্রিয়ার আদর্শ হিসেবে ধরা হবে।  শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় মিয়ানমার ফিরতে আগ্রহী প্রত্যাবাসনকারীরা এই সমঝোতার আওতাধীন।  অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জন্ম নেওয়া (রাখাইনে ধর্ষণের কারণে) শিশুদের বাংলাদেশের আদালতের মাধ্যমে প্রত্যায়িত (সাটির্ফাই) করতে হবে।  প্রত্যাবাসনকারীদের প্রাথমিকভাবে সীমিত সময়ের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে রাখা হবে।  নাগরিকত্বের প্রমাণ উপস্থাপন করার সাপেক্ষে সব প্রত্যাবাসনকারীকে ফেরত নেবে মিয়ানমার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর