মেয়র নাছিরের সঙ্গে রিভা গাঙ্গুলির সাক্ষাৎ

চট্টগ্রাম, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-08-24 04:38:14

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস।

সোমবার (১৭ জুন) চসিক মেয়রের কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এ সময় দুজনের মধ্যে বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

মেয়র নাছির বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা এক অনবদ্য ইতিহাস। ভারত বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছিল। বাংলাদেশের জন্য ভারতবাসীর এতটা ত্যাগ ও ভালোবাসা বিশ্বের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা।

নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা জানাতে সিটি মেয়র বলেন, বিগত ১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরের সক্ষমতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

বে টার্মিনাল, কন্টেইনার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে বন্দরে যে সক্ষমতা আছে তা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে হাইকমিশনারকে জানান মেয়র নাছির।

বর্তমান সরকারের গৃহীত প্রকল্প মাতারবাড়ী ডিপ সি-পোর্ট, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ট্যানেলসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলমান উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়েও হাইকমিশনারকে অবহিত করের আ জ ম নাছির।

ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাক, ভারত সরকারও তা চায়। এতে ভারতের সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকতে ভারত অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশকে ভারত সবসময় বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসাবেই দেখে বলে দুই দেশের জনগণের মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ লক্ষ্য করা যায়।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের সেভেন সিস্টারসহ দুই দেশের জনগণের আর্থিক উন্নতি সম্ভব। চট্টগ্রাম বন্দরের বহুমুখী ও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এ অঞ্চলে শ্রমবাজার, কর্মসংস্থান, পুঁজি বিনিয়োগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুই দেশের জনগণের আর্থিক উন্নতি ঘটবে।

রিভা গাঙ্গুলি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নির্দশন হিসেবে নমনীয় ঋণ চুক্তির আওতায় চট্টগ্রামে এলইডি প্রকল্প উপহার দিয়েছে ভারত সরকার। এটা ভারত সরকারের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক। শুধুমাত্র ঘর-গৃহস্থালির কাজেই নয়, এলইডি বাল্বের সাহায্যে আলোকিত হবে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের পথ-ঘাটও। এর ফলে দিনের যে সময়টিতে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি সেই সময় বিদ্যুতের চাহিদা কমিয়ে আনতে এই এলইডি বাতি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন ভরতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চসিক প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর