থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে এবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের (অ্যাডিশনাল এসপি) পদায়নের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘সবসময় সবকিছু একই থাকে না। উন্নয়নের সঙ্গে সবকিছু এগিয়ে যায়। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।’
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সচিবালয়ের সভাকক্ষে সুরক্ষা সেবা বিভাগের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনু্ষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগে ওসি হতেন একজন এসআই। আর এখন ওসি হোন একজন ফার্স্ট ক্লাস অফিসার। সুতরাং আমাদের যখনই যা কিছু করা প্রয়োজন, তখনই আমরা তা করব। জনগণের স্বার্থে ও কল্যাণে সব সময়ই সবকিছু করব। যে সিদ্ধান্ত রয়েছে, তা সময়মতো বসে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেব।’
এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন যেমন একটি চলমান প্রক্রিয়া, তেমনি এটাও একটি চলমান প্রক্রিয়া। আগে একটি থানায় ২০ জন কনস্টেবল থাকত, এখন সেখানে ৫০ জন করা হয়েছে। একটি থানায় এক সময় দুইজন এসআই থাকত, এখন সেখানে ৩০ থেকে ৪০ জন এসআই থাকে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একজন এডিশনাল এসপি থানায় কেন? এটাতো কোনো কথা নয়। উন্নয়ন যেমন একটি চলমান প্রক্রিয়া তেমনি এটাও একটি উন্নয়ন। এখন একজন এডিশনাল এসপি থানায় দরকার, তাই দেওয়া হতে পারে।’
‘আমি যখন ছোট ছিলাম, দেখতাম একজন এসআই দুটি থানা কন্ট্রোল করত। এখন একটা থানায় থাকে ৩০ থেকে ৪০ জন এসআই। আর একজন এডিশনাল এসপি দুইটা থানা কন্ট্রোল করে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা চলবে।’
মাদকের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক অধিদফতরকে ঢেলে সাজাচ্ছি। যেখানে যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করছি। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। ২৬ জুন মাদক দিবস পালিত হবে। শুধু দিবস পালন নয়, মাদকের চাহিদা ও সরবরাহ হ্রাস করতে কাজ করে যাচ্ছি।’