রাজনীতিতে সত্যিকার অর্থের একটি বিরোধী দল চান তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, 'আমরা সত্যিকার অর্থে একটি বিরোধী দল চাই। কেননা আমরা তর্কভিত্তিক এবং গঠনমূলক সমালোচনায় বিশ্বাসী। আমরা চাই না, কেবল না সূচক শব্দ দিয়ে কেউ অন্ধের মতো সমালোচনা করুক।'
রোববার (২৩ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে আয়োজিত দলের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে সবাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে প্রশংসা করেন। অনেকে এমন প্রবৃদ্ধি দেখে বাংলাদেশকে অনুকরণ করছে। এত সব উন্নয়ন দেখে সবাই প্রশংসা করলেও বিএনপি আর সিপিবি করতে পারে না। যে পেট্টোল বোমা সন্ত্রাসের তকমা বিএনপির গায়ে জড়িয়ে আছে, এটি থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাইরে আপনারা কেবল খালেদা জিয়া মুক্তি, হাঁটুর ব্যথা আর তারেক রহমানের মামলা নিয়ে পড়ে আছেন। আমি অনুরোধ করব আপনারা এমন কার্যক্রম ছেড়ে জনতার কল্যাণে রাজনীতি করুন।'
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, 'যখন রাজনীতি বুর্জোয়া আর সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে কুক্ষিগত ছিল তখন আওয়ামী লীগ দল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। দীর্ঘ ত্যাগ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে অনেকে নেতাকর্মীকে কারাবরণ করেছে। খুন করা হয়েছিল অনেক নেতাকে। যারা দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেননি তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বহু বছর আগে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশের চেয়ে উন্নতের কাতারে থাকত। এরপরেও তারা কন্যা বাংলার প্রতিটি দলকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এমন ধারাবাহিতকা রক্ষায় সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।'
দলের অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, 'এখন সবাই নৌকায় উঠতে চায়। নৌকায় যাত্রী বেশি হলে ডুবে যায়। সবাইকে নৌকার নেওয়ার প্রয়োজন নেই। পর পর তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে দলে অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। সরকারের এত উন্নয়ন, অগ্রযাত্রাকে এরা প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। দলের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে এসব অনুপ্রেবেশকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। নেতাকর্মীদের বিনয়ী হতে হবে, কোনো ঔদ্ধত্য আচরণ করা যাবে না।'
তথ্যমন্ত্রী এ সময় ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় সকলের সহযোগীতা ও পরামর্শ চান।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মো. মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন। এতে প্রধান অতিথির হিসেবে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়ের আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।