প্রাণ, মিল্কভিটা, আড়ং’সহ বাজারে বিক্রি হওয়া পাস্তুরিত ৭টি দুধ-ই মানহীন বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৫) ঢাবির ফার্মেসি বিভাগ হতে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এবং ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক আ.ব.ম.ফারুক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এসব কোম্পানির দুধ পরীক্ষা করে দেখা গেছে এতে প্রচুর পরিমাণে মাত্রাতিরিক্ত কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়া কিছু দুধে এন্টিবায়োটিকও পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: প্রাণের ঘি, রাঁধুনী ধনিয়া-জিরা গুঁড়াসহ ১১ পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত
তিনি বলেন, ‘প্রাণ, মিল্কভিটা, আড়ংসহ পাস্তুরিত দুধের ৭টি নমুনার কোনোটিতেই কাঙ্খিতমাত্রার ‘সলিড নট ফ্যাট’ পাওয়া যায়নি। এই ৭টি নমুনায় ছিল: মিল্ক ভিটা, আড়ং ও প্রাণ।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ১১ টি ফ্রুট ড্রিংকসের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায় সবগুলোতে নিষিদ্ধ ক্ষতিকর সাইক্লামেট পেয়েছেন তারা। এগুলো হলো, স্টার শিপ ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংকস, সেজান ম্যাংগো ড্রিংক, প্রাণ ফ্রুটো, অরেনজি, প্রাণ জুনিয়র ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংক, রিটল ফ্রুটিকা, সান ড্রপ, চাবা রেড এপল, সানভাইটাল নেক্টার ডি ম্যাংগো, লোটে সুইটেন্ডএপল, ট্রপিকানা টুইস্টার।
আরও পড়ুন: প্রাণ-এসিআইসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২ ভেজাল পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ
এছাড়াও আড়ং, বাঘাবাড়ি, প্রাণ, মিল্ক ভিটা, মিল্কম্যান, সুমির ও টিনে বিক্রি হওয়া ঘি মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে। রুপচাঁদা, পুষ্টি, সুরেশ, ড্যানিশ, ও বসুধা সরিষা তেলসহ বাজারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন ভোজ্যতেলেও মানহীনতার চিত্র উঠে আসে প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: ৭ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ১৮ পণ্যের উৎপাদন স্থগিত