পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। ফলে এমন অবস্থায় খন্দকার বাছিরকে বিদেশ যাত্রা থেকে বিরত রাখতে পুলিশের বিশেষ শাখায় চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
বুধবার (২৬জুন) পুলিশ ও দুদক কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা দলনেতা দুদক পরিচালক শেখ ফানাফিল্যা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শককে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে জানানো হয়, ‘এনামুল বাছির দেশত্যাগ করতে পারেন’ এমন তথ্য রয়েছে দুদকের কাছে।
সেখানে বলা হয়, খন্দাকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের সত্যতা দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বক্তব্য গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য তার বরাবর নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, তিনি সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
পুলিশের কাছে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বাছিরের বিদেশ যাওয়া ঠেকানো জরুরি ।
এ বিষয়ে পরিচালক ফানাফিল্যা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা পুলিশের বিশেষ শাখায় একটা চিঠি দিয়েছি। আমরা যখন কারো বিরুদ্ধে তদন্ত করি, তখন তাকে সব দিক থেকে ব্লক করে রাখি।