ভৈরব ও তিতাসে দ্বিতীয় রেলসেতুর আজ উদ্বোধন

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-24 17:44:38

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেঘনা ও তিতাস নদীর উপর দুই রেল সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। মেঘনা নদীর উপর আশুগঞ্জ-ভৈরব দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু এবং তিতাস নদীর উপর দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতু  নির্মিত হয় ভারতীয় অর্থায়নে। বাংলাদেশ রেলওয়ে এই দুই রেলসেতুর নির্মাণ কাজ তত্ত্বাবধান করে। গত জুন মাসে শেষ করা দুই রেলসেতুর নির্মাণ কাজ। ব্যয় হয়  ৭৮১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই সেতু আনুষ্ঠানিক  রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন।  সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হবেন। দুই রেলসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দুই স্থানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধূরী, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধূরী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার ড. আদর্শ সোয়ায়িকা ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) ও প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হাই প্রমূখ। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, দুই  রেলসেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলে সময় কমবে প্রায় দেড় ঘন্টা। তাছাড়া অধিক ওজনের ট্রেন চলাচলের সুযোগ থাকায় ঢাকার সঙ্গে পণ্য পরিবহন হবে সহজ ও নিরাপদ। রেলওয়ে বিভাগ জানিয়েছে, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের জন্য অন্যতম ও সহজ মাধ্যম ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। তাই বর্তমান সরকার এই রেলপথ ডাবল/ডুয়েল গেজে রুপান্তরের এক মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়। ইতোমধ্যে টঙ্গী-ভৈরব, চট্টগ্রাম-লাকসাম অংশের ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালা পর্যন্ত ডাবল লাইন আগে থেকেই ছিল। কিন্ত আশুগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে যাত্রাপুর পর্যন্ত এক কিলোমিটার রেল লাইন, মেঘনা নদীর উপর দ্বিতীয় রেল সেতু ও ভাতশালা স্টেশনের কাছে তিতাস নদীর উপর দ্বিতীয় রেলসেতু না থাকায় এতদিন ভৈরব থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল লাইনে বিরতীহিনভাবে ট্রেন চলাচল চালু করা সম্ভব হয়নি। এই ডাবল লাইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আশুগঞ্জ-ভৈরব সীমানায় মেঘনা নদীর উপর ২য় ভৈরব রেলসেতু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর উপর দ্বিতীয় রেলসেতুসহ আরো কিছু আনুসঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ৬২০ কোটি টাকা। যার সিংহ ভাগ ভারতীয় ঋণ সহায়তায় (এলওসি)‘র আওতাভুক্ত। এছাড়াও তিতাস নদীর উপর দ্বিতীয় রেলসেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক ও দ্বিতীয় ভৈরব সেতুর ও দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতু প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল হাই জানান, দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এই সেতুর উদ্বোধন করা হবে। তিনি আরো জানান, পূর্বের সেতু দিয়ে ১১-১২ টন ওজনের ট্রেন চলাচল করলেও এ সেতু দিয়ে ২৫ টন ওজনের ট্রেন চলাচল করতে পারবে, থাকবে মিটার গ্রেজ ও ব্রডগেজ লাইন সুবিধা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ভ্রমন ও পণ্য পরিবহনে সময় যেমন অপেক্ষাকৃত কম লাগবে তেমনি তা হবে সহজ ও সাশ্রয়ী। এ পথে ট্রেন চলাচলে সময় অন্তত দেড়ঘন্টা সময় কমে আসবে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর