গাড়ি ছিনতাই করে চোরাই মার্কেটে বিক্রির উদ্দেশেই উত্তরায় উবার চালক আরমানকে খুন করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
রোববার (৩০ জুন) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশের উত্তর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান।
মশিউর রহমান বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ঢাকা, হবিগঞ্জ এবং শেরপুর থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকারীদের উদ্দেশ্যে ছিল অ্যালিয়ন মডেলের একটি গাড়ি চুরি করা। আর এ লক্ষ্যে উবারে বেশ কয়েকটি রাইডে রিকোয়েস্ট পাঠায় তারা। ওই রিকোয়েস্টে আরমানের গাড়িটি পেলে, তারা সেই গাড়িটিকেই টার্গেট করে।
মশিউর রহমান বলেন, ‘ঘটনার দিন রামপুরা থেকে আরমানের গাড়িতে উঠে এই চক্রটি। উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কে গিয়ে রাইড শেষ হলে চালককে টাকা না দিয়ে অপেক্ষা করতে বলে। বাসা থেকে টাকা নিয়ে কেউ একজন নামবে বলে চালক আরমানকে অপেক্ষা করায়।’
পুলিশ বলেন, ‘তারা অপেক্ষা করছিল চালক আরমানকে খুন করার উপযুক্ত পরিবেশের জন্য। এক পর্যায়ে রাস্তা কিছুটা জনশূন্য হয়ে পড়লে সিজানের নির্দেশে শরীফ আরমানের গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। এই অবস্থায় আরমান গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিছুদূর গিয়ে আর পারে না। অচেতন হয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। সেখানেই মারা যায় আরমান।’
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, হত্যাকারী চক্রের প্রধান সিজান। খুলনায় তার এক বন্ধু সাব্বির চোরাই গাড়ির ব্যবসা করে। সেখান থেকে সিজানের কাছে অর্ডার আসে একটি অ্যালিয়ন মডেলের গাড়ি দিলে ৮ লাখ টাকা দেয়া হবে। এরপরেই গাড়ি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনায় নামে চক্রটি।