আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তার ফসলগুলো জনগণকে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁর আইনগুলোর মাধ্যমে স্বাধীনতার ইতিহাস দেখার জিনিসটা আমাদের তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধু কী কী আইন করেছিলেন, এই আইনগুলো করতে গেলে রাতারাতি এইগুলো আইন হয়ে আসে না। একটা মানুষ যদি আগে থেকেই স্বাধীনতার চিন্তা না করে তাহলে পরে এই আইনগুলো হতো না। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলো আর ১৫ জানুয়ারি এগুলো হয় না। এগুলো চিন্তা করতে হয় অনেক আগে থেকে। তাই এই বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেউ বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারে নাই। আমরা চেষ্টা করি আর না করি; আমরা চাই আর না চাই, বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে আলাদা করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ সব সময় একসাথে ছিল এবং একসাথে থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হবে ব্যর্থ চেষ্টা।
আনিসুল হক বলেন, আমরা যেটা করার চেষ্টা করছি সেটা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমরা যে অন্যায় ও অবিচার করেছি তার কিছুটা প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা, বলা যেতে পারে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার চেষ্টা।
সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জন্ম শতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মানবিকতা, দেশপ্রেম এবং আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারের প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস ইত্যাদি গুণাবলী তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে বলেন। এজন্য আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সুপারভাইজরি কমিটিসহ কয়েকটি সাব কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন। সভা পরিচালনা করেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক। সভায় মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।