এ বছর এখনো ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা মহানগরীর মশক নিধন কার্যক্রম বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে, আগের কয়েক বছরের চিত্র দেখলে কিছুটা হলেও এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি মনে হচ্ছে। সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে রুটিন ওয়ার্কের বাইরেও বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের সঙ্গে জনসচেতনতাকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনগণকে সচেতন করতে জুমার নামাজে ইমাম সাহেবরা খুতবা দিচ্ছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘কোথাও কোন স্প্রেম্যান অনুপস্থিত থাকলে সহজেই তাদের চিহ্নিত করতে পারছি। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ডেঙ্গু এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।’
তিনি বলেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে ৪৫০টি এলাকায় ভ্রম্যমাণ মেডিকেল টিম ওয়ার্ডে অবস্থান করবে। তার কয়েকদিন আগে থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জানিয়ে দেওয়া হবে, যদি কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং কেউ আক্রান্ত না হলেও ঠাণ্ডা, কাশি ও জ্বরের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষধ সরবরাহ করা হবে।’
‘ডাক্তার যদি হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে তাদের মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল কিংবা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে তদেরকে ভর্তি করা হবে। চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বহন করবে। কোন রোগী যদি চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত স্থানে যেতে না পারেন, তাহলে আমাদের হটলাইনে ফোন দিলে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যদল তাকে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহ করবে।’
মেয়র বলেন, ‘৯৮ থেকে ৯৯ ভাগ ডেঙ্গু ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু। সাত থেকে ১০ দিনের জ্বরে এটি সেরে যায়, কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি করে না। কোনো ক্ষতির কারণ থাকে না।’
তিনি জানান, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে দুই হাজার ১০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৮৭৫জন ইতোমধ্যে বাসায় চলে গেছেন, চিকিৎসাধীন আছে ৩০০ রোগী। আর মারা গেছেন দুইজন।