বেসরকারি শিক্ষকদের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস ও এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজো ফোরাম।
শুক্রবার (১২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠন দুটির ব্যানারে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, 'আমরা শিক্ষকরা দেশের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাই। আমাদের যে বেতন দেওয়া হয় তা খুবই সামান্য। এভাবে শিক্ষক সমাজ বেঁচে থাকতে পারে না। প্রতি ঈদে হাহাকার করে শিক্ষক পরিবারগুলো। শিক্ষকরা এভাবে প্রতিদিন রাস্তায় এসে আন্দোলন করতে পারে না। আমাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে অনতিবিলম্বে প্রতিষ্ঠিত করুন। অন্যথায় শিক্ষকরা আরো কঠোর অবস্থানে যাবে।'
এসময় প্রয়োজনে গণভবন অথবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের কথাগুলো যদি প্রধানমন্ত্রী না শুনেন, আমাদের হাহাকার যদি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত না যায় প্রয়োজনে গণভবনের সামনে অবস্থান নেব আমরা।'
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, 'যেখানে এশিয়ার দেশগুলোতে শিক্ষাখাতে মোট বাজেটের ছয় শতাংশ দেওয়ার কথা, সেখানে আমাদের শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ। ছয় শতাংশ দেওয়া সম্ভব না হলেও কমপক্ষে আরো দুই শতাংশ বরাদ্দ দিলেই শিক্ষকদের সমস্যাগুলো সমাধান হবে। শিক্ষকরা আর রাস্তায় দাঁড়াবে না। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য লজ্জাজনক।'
মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, মুন্সীগঞ্জ জেলার শিক্ষকদের সভাপতি রতন কুমার প্রমুখ।