সমাজ এখনও কলুষমুক্ত নয়: এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-10 17:55:30

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সমাজ এখনও কলুষমুক্ত হয়নি। এ রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণভাবে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিতে পারিনি, কিন্তু যে পর্যায়ে এসেছে এই পর্যায়ে বাঙালি জাতি আর কখনো আসে নাই। আজকে বঙ্গবন্ধুর সেই ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ আয়োজিত অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র 'ক্ষমাহীন নৃশংসতা' শীর্ষক প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, আগামী সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের যে ভালো কাজগুলো হচ্ছে, সেগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে অক্ষত রাখা দরকার। স্বাধীনতার ইতিহাসটা সঠিকভাবে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা দরকার। আজকের বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বার্থক করতে, ১৬ কোটি মানুষকে উন্নত জীবন দিতে হলে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস বড় বেশি প্রোয়োজন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তো সেই মানুষ যার ত্যাগের কোনো কমতি নাই। মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ সমস্ত হাইওয়ের তিনি ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলো তিনি নতুন করে তৈরি করেছেন। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করতে আমার অসুবিধা কোথায়!

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু খুব কম সময় আমাদের জন্য বেঁচে ছিলেন, কিন্তু সব সময় তিনি সাধারণ মানুষের জন্যই ভাবতেন এবং কাজ করতেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সন্তান হিসেবে তাঁর বাবাকে খুব কাছ থেকেই পেয়েছেন। তাই পিতার আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, দিবারাত্রি সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে যে ত্যাগ স্বীকার ও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, সেটা তাকে দেখেই আমরা বুঝি।

শিক্ষক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ফুয়াদ চৌধুরী নির্মিত অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র 'ক্ষমাহীন নৃশংসতা' মূলত মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত। পাকিস্তানের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জবানি উঠে এসেছে এতে, যারা এতদিন পর স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি পাকিস্তানের স্বনামধন্য রাজনীতিবিদদের বক্তব্য রয়েছে এতে, যারা পশ্চিম পাকিস্তানের সেই যুদ্ধ অন্যায় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন। 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক বদরুল আনম ভূঁইয়া প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর