বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা

ঢাকা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম, বান্দরবান | 2023-08-31 11:42:43

ভোগান্তির যেন শেষ হচ্ছে বান্দরবানে বন্যায় কবলিত মানুষদের। শুক্রবার (১২ জুলাই) বন্যার পানি কিছুটা কমলেও শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে প্লাবিত এলাকাগুলোতে বন্যার পানি বেড়েই চলেছে। প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন এলাকা ও ঘরবাড়ি।

অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় বন্যার পানিতে বন্দি হয়েছে পড়েছে ৫০ লাখের বেশি মানুষ। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৩১টি। কিন্তু প্লাবিত এলাকাগুলোর তুলনায় আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা অনেক কম বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এদিকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত সাঙ্গু এবং মাতামুহুরী নদীর পানিও হুহু করে বাড়ছে।

জানা গেছে, চলতি মাসের ৬ জুলাই থেকে বান্দরবানে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। সদর, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩৩ টি ইউনিয়ন এবং দুটি পৌরসভায় বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা যেন বাড়ছে প্রতিযোগিতা দিয়ে।

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শনিবার মেম্বারপাড়া, হাজেঘোনা, বালাঘাটা, কালাঘাটাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নতুন করে অনেক ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। সাতটি উপজেলায় ৫০ লাখ মানুষ এখন পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে।

বন্যা-পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে দূর্যোগ মোকাবিলায় বান্দরবানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাইক্লোন সেন্টারে খোলা হয়েছে ১৩১টি আশ্রয় কেন্দ্র। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিয়েছে শতশত পরিবার। এছাড়াও আত্মীয় স্বজন এবং পাশ্ববর্তী ভবনে পাড়াপ্রতিবেশির বাসায় অবস্থান নিয়েছে।  বন্যা কবলিত পানি বন্দি এলাকাগুলোতে এখনো পর্যন্ত প্রশাসন-পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌছায়নি। 

বন্যায় ভুক্তভোগী লাকী দাস বলেন, বন্যার পানি নামতে শুরু করেছিল শুক্রবার রাতে। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত এলাকাগুলোতে আবারও পানি বাড়ছে। ভোগান্তির যেন শেষ হচ্ছে না, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। বন্যা দূর্গত এলাকাগুলোতে এখনো কোনো সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ পৌছায়নি।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন করে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শহরের হাফেজঘোনা এলাকায় সড়কে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: দাউদুল ইসলাম বলেন, ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে গুদামে। আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা আরও ৫টি বাড়িয়ে ১৩১টি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর