জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রংপুরে নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসে চিরশায়িত হয়েছেন। বড় ভাই এরশাদের দাফন শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬ টায় পল্লী নিবাসে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে দুপুর আড়াইটায় রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পল্লী নিবাসে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিরবিদায় দেওয়ার দৃশ্যে দেখা যায় জিএম কাদের অনবরত চোখের জল মুছছেন। একই দৃশ্য দেখা গেছে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার ক্ষেত্রেও। তিনি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হু হু করে কেঁদে যাচ্ছেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে হারিয়ে নেতাকর্মীসহ অনেকের চোখেমুখে তখন শোকের ছাপ। এর মধ্যেই কেউ কেউ একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন।
রংপুরের প্রিয় নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কবরে একমুঠো মাটি দেওয়ার জন্য অসংখ্য ভক্ত, নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, আমার বড় ভাই কে আপনাকে এত ভালবাসে তা আমার জানা ছিল। আপনারা প্রমাণ করে দিলেন রংপুরের ছেলে রংপুরে থাকার দরকার।
এর আগে মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) বিকেল ৩ টায় তার জানাজা পড়ান রংপুর জামে মসজিদের খতিব মাওনালা হাফেজ ইদ্রিস আলী। জানাজায় অংশ নিতে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে মানুষের ঢল নামে।
রোববার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে ৮ টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এরশাদ। ৮৯ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন।