ময়মনসিংহ থেকে সিলেট ও রংপুরে ট্রেন চালুর দাবি

ময়মনসিংহ, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ | 2023-09-01 12:04:23

ময়মনসিংহ থেকে সিলেট ও রংপুর রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করাসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ময়মনসিংহ নগরবাসী।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকালে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সামনে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে ‘আমরা ময়মনসিংহবাসী’ ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ছাড়াও রেলওয়ে ফ্যান গ্রুপের সদস্য ও সিলেটস্থ সিলেট-ময়মনসিংহ আন্তঃনগর ট্রেন চালুকরণ বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।

তাদের অন্য দাবিসমূহ হচ্ছে- ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে চারটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু, বর্তমানে ময়মনসিংহ হয়ে যেসব অন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে সেসব ট্রেনের অর্ধেক আসন ময়মনসিংহ থেকে বরাদ্দ, ট্রেনের টিকিট কালো বাজারিমুক্ত করে টিকিট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা ও ময়মনসিংহ রেল স্টেশনকে আর্ন্তজাতিক মানের আধুনিক রেলস্টেশনে রূপান্তরিত করা।

আমরা ময়মনসিংহবাসীর আহ্বায়ক জগলুল পাশা রুশোর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সিপিবির জেলা সভাপতি অ্যাড. এমদাদুল হক মিল্লাত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি অ্যাড. এ বি এম নুরুজ্জামান খোকন, জনউদ্যোগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাড. শিব্বির আহমদ লিটন, ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা, ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত রায়, সুজন মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ, নারী নেত্রী সৈয়দা সেলিমা আজাদ, দীপ শিখা খান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘যাতায়াতের সহজ মাধ্যম রেলপথ। জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি-সংস্কৃতি-শিক্ষা তথা সভ্যতার বিকাশ রেলকে ঘিরেই আবর্তিত। কিন্তু বৃটিশ-পাকিস্তান আমল পার হয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতির সাথে রেলওয়ের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ময়মনসিংহ অঞ্চলে একেবারেই হয়নি।’

তারা বলেন, ‘ময়মনসিংহের অনেক শিক্ষার্থী সিলেট ও রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। ঐ দুই অঞ্চলের অনেক শিক্ষার্থীও ময়মনসিংহে পড়াশোনা করেন। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে সিলেট ও রংপুরে। ময়মনসিংহ থেকে ট্রেন না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের।’

এর আগে সাত দফা দাবিতে জেলা প্রশাসক ও স্টেশন সুপারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক কে এম গালিভ খাঁন ও স্টেশন সুপার জহুরুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর