প্রয়োজনীয় খাদ্য-পুষ্টি পায় না ৪ কোটি মানুষ

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 05:08:21

প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি পায় না দেশের দরিদ্র ৪ কোটি মানুষ। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী থাকা সত্ত্বেও দেশের মোট জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ এই মানুষগুলো কম খেয়ে জীবন ধারণ করছে।

২১ জুলাই রোববার (২১ জুলাই) ঢাকার ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সংলাপে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।

ইকো কোআপারেশনের সিভিক এনগেজমেন্ট এলায়েন্স প্রোগ্রাম ও ক্রিশ্চিয়ান-এইড এর সহায়তায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রবন্ধে বলা হয়, এ পরিস্থিতি দেশে সকল মানুষের মৌলিক অধিকার খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বস্ত্র ও বাসস্থান প্রতিষ্ঠার বিষয়কে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অতিদরিদ্র ও দরিদ্র মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালন করেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সংবিধান খাদ্য অধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে কিন্তু সময়ের প্রক্ষোপটে এখন প্রয়োজন আইন তৈরি করা। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে এবং ক্রমাগতভাবে দারিদ্র্যের হার কমে আসার ক্ষেত্রেও ঈর্ষাণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

কিন্তু এরপরও এখনো বাংলাদেশের ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অপুষ্টির শিকার। যার মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ নারী রক্ত স্বল্পতায় ভূগছে। উত্তরবঙ্গসহ দারিদ্র্যপ্রবণ ৯ জেলায় ও এর বাইরে নদীভাঙন এলাকা, চরাঞ্চল ও হাওর এলাকা, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগরের বস্তিবাসী, চা বাগানের শ্রমিক, হরিজন ও বেদে সম্প্রদায়, হিজড়া সম্প্রদায়, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্যান্য অংশ মানবেতর জীবনযাপন করে।

এদের খাদ্য ও পুষ্টির দিকে বিশেষ মনযোগ দিতে এবং তা নিশ্চিতে খাদ্য অধিকার আইন প্রনয়ণ জরুরি বলে মত প্রদান করেন বক্তারা।

তারা বলেন, দেশের উন্নয়নে মেগা প্রকল্প যেমন প্রয়োজন রয়েছে, পাশাপাশি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দরিদ্র এবং অতিদরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়নের জন্যও প্রকল্প নিতে হবে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হবে এবং এর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষ নিজেরাই নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।

সংলাপে ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এ বিষয়ে গণমাধ্য খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতি বিষয়ে প্রকৃত পরিস্থিতি তুলে ধরা, পরিস্থিতি বিশ্লেষণের আলোকে খাদ্য অধিকার আইনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে দেশব্যাপি সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রতিবেদন -এর মাধ্যমে নীতি-নির্ধারক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর