ভাড়া প্লেন বসিয়ে রেখে প্রতি মাসে অপচয় হচ্ছে সাড়ে ৫ কোটি

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 16:54:19

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানের দূরবস্থা কাটছেই না। বিমানের ফ্লাইট চলাচলে গতি আনতে মিশরের ইজিপ্ট এয়ারক্রাফট থেকে ভাড়ায় আনা বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর মডেলের এয়ারক্রাফট আনে বিমান বাংলাদেশ। ড্রাই লিজে আনা প্লেন দুটি বিমানবহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চ মাসে। তবে উড়োজাহাজ দুইটি কিছু দিন পর অকেজো হয়ে যায়। চুক্তি অনুযায়ী উড়োজাহাজ চলুক আর না চলুক মিশরে ওই প্রতিষ্ঠানকে প্রতি মাসে সাড়ে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে বাংলাদেশ বিমানকে। তবে এরইমধ্যে একটি উড়োজাহাজ ফেরত দেয়ায় সাড়ে ৫ কোটি সাশ্রয় হলেও এখনো প্রতি মাসে সাড়ে ৫ কোটি টাকা করে গুণতে হচ্ছে বিমান বাংলাদেশকে।

রোববার (২১ জুলাই) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বলা হয়, মিশর হতে ইজিপ্ট এয়ারক্রাফট এর যে দুটি উড়োজাহাজ ভাড়া করা হয়েছিলো তার একটিকে ইতোমধ্যে ফেরত দেয়া হয়েছে যার ফলে প্রতিমাসে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সাশ্রয় হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানের। বাকী অন্য প্লেনটিও ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে কমিটিকে অবহিত করা হয়। মিশর থেকে ত্রুটিপূর্ণ প্লেন ভাড়া করার ক্ষেত্রে যে অসম চুক্তি করা হয়েছিলো সেটি খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেয় কমিটি। পাশাপাশি যারা ওই চুক্তির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তীতে বিমানের কোনও বড় ধরণের চুক্তি বা ক্রয় সংক্রাংন্ত বিষয় হলে কমিটিকে অবহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটি সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বিমানের কি ক্ষতি হলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা দেখব মন্ত্রণালয় কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা দেখার। কারা চুক্তি করেছিল কি ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা মন্ত্রণালয় দেখবে। তাছাড়া আমরা একটি সাব কমিটি গঠন করে দিয়েছি সেই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলতে পারব।

বিগত দশ বছরে বিমানের কী কী যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করার সুপারিশ করে কমিটি।

এছাড়া পর্যটন শিল্পকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করার জন্য একটি বিস্তর কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আরোও বেশি দৃষ্টি নন্দন করতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেয়া হয়।

বৈঠকে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ হতে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক মাসের ১৭ তারিখে ১৭টি রুটে অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ১৭ জনকে ১৭ শতাংশ মূল্য ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কমিটি সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর  সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মো. আসলামুল হক, তানভীর ইমাম, আনোয়ার হোসেন খান, সৈয়দা রুবিনা আক্তার বৈঠকে অংশ নেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর