বাতিল হচ্ছে এম ও ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজের সনদ

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-27 18:21:20

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডার এম ও ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজের সনদ বাতিল করতে পারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ক্রমাগত আইন ভঙ্গ ও গ্রাহকদের টাকা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার এম সিকিউরিটিজের সনদ বাতিল হতে পারে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ না করলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের সনদ বাতিল বা স্থগিত করা হতে পারে।

এতে বলা হয়, এম সিকিউরিটিজে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর গ্রাহকদের হিসাবে ঘাটতি ছিল ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যা চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে সমন্বয় করার জন্য সময় বেধে দেয় কমিশন। এরপরে হাউজটি থেকে ২ দফায় আরও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হলেও তা প্রত্যাখান করা হয়। তবে চলতি বছরের ২৭ জুনের মধ্যে সব ঘাটতি সমন্বয় করা হয়েছে বলে গত ২ জুলাই কমিশনকে জানায়।

কিন্তু ডিএসই পরীক্ষা শেষে ৯৮ লাখ টাকা ঘাটতি পায়। এর মাধ্যমে হাউজটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৮এ এর সাব রুলস (১) ও (২) ভঙ্গ করেছে। এছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ ভঙ্গ করেছে। যে কারণে কমিশন, হাউজটির বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১২ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যে বিধিতে নিবন্ধন সনদ বাতিল ও স্থগিতকরণ করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে গ্রাহকের হিসাবে ঘাটতি, পরিচালকদের হিসাবে ঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে এম সিকিউরিটিজকে ২০ লাখ টাকা ও ২ পরিচালককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেও প্রায় একই কারণে আরও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ : এক পরিদর্শনে ২০১৭ সালের ১৮ মার্চ হাউজটির সিলেট শাখায় ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ঘাটতি দেখা দেয়। বিভিন্ন সময় সিএসইর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পাওনার ২৯.১৫ শতাংশ অপরিশোধিত রয়েছে। যা পরিশোধে সিএসই চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে।

আজকের কমিশন সভায়, সিএসই থেকে ব্রোকারেজ হাউজটির প্রাপ্য লভ্যাংশ এবং সিএসই রেগুলেশনস, ২০১৩ এর অধীনে প্রাপ্য ফ্রি লিমিট চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাউজটি থেকে চলতি বছরের মধ্যে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ না করলে, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১২ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যে বিধিতে নিবন্ধন সনদ বাতিল ও স্থগিতকরণ করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর