উচ্ছেদ অভিযানে নদীতীরের ১৪৫ একর জমি উদ্ধার

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-24 07:31:30

এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ২৩৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ঢাকার চারপাশে নদীতীরের প্রায় ১৪৫ দশমিক ১ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। নিলামের মাধ্যমে আট কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা এবং জরিমানার মাধ্যমে ২৭ লাক ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে পরামর্শ প্রদান, সুপারিশ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য গঠিত ‘টাস্কফোর্স’ -এর প্রথম সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার, বনায়ন, তিনটি ইকোপার্ক, ছয়টি পন্টুন, ৪০ কিলোমিটার কি-ওয়াল, ১৯টি আরসিসি জেটি, ৪০টি স্পার্ড ও ৪০৯টি বসার বেঞ্চ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে, যা ২০২২ সারের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নদীর তীরে ৯ হাজার ৫৭৭টি সীমানা পিলার স্থাপন করেছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৮৫৫টি পিলার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিতর্কিত দুই হাজার ১১৪টি পিলারের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ নদীতীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৬১২ দশমিক ২২ একর জমি উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ঢাকার চারপাশে ৩৭৮ দশমিক ৬২ একর এবং নারায়ণগঞ্জে ২৩৩ দশমিক ৬০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১৫ হাজার ৫৯২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ হাজার ৪৭৮ টি এবং নারায়ণগঞ্জে ৩ হাজার ১১৪টি উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সভায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিআইডব্লিউটিএ গৃহীত নদীতীরে চলমান উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানায় টাস্কফোর্স কমিটি। উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত রাখারও আহবান জাানায় কমিটি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও টাস্কফোর্সের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, নদীতীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে টাস্কফোর্স কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে। উচ্ছেদ কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা করার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

সভায় জানানো হয়- অভ্যন্তরীণ নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমানে সাতটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের নদী খনন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। খাগদোন, বিষখালী, কীর্তনখোলা, যাদুকাটা, রক্তি, রকশোনালা, কর্ণপাড়াখাল, লোহালিয়া, মনু, পিয়ান,আড়িয়াল খাঁ, ইছামতি, তালতলাখাল, পালং, নড়িয়াখাল, পুরাতন দুবালদিয়া, শীতলক্ষ্যা, কালিগঙ্গা, শৈদাহ, গাঘর, মধুমতি, কাচিকাটাখাল, পাড়কোনা, তুরাগ, কুমার,ধলেশ্বরী, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, তিতাস নদী, কংস, বাউলাই, সুরমা, মগড়া, পাগলা, বুড়ি, ভোগাই-কংস, নতুনডাকাতিয়া, বাঁকখালী, ভৈরব, আত্রাই, ভোলা, পালরদি, কর্ণতলী, পদ্মা, মেঘনা, গাবখানখাল, কর্ণফুলীনদীচ্যানেল, পশুরনদীচ্যানেল, কাজল-তেতুলিয়া নদীতে খনন কাজ চলমান রয়েছে।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর