রোহিঙ্গা ইস্যুতে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক ফলপ্রসূ: মিয়ানমারের স্থায়ী পররাষ্ট্র সচিব

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক | 2023-09-01 23:43:03

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক ফলপ্রসূ: মিয়ানমারের স্থায়ী পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিন্ট থো।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় এ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইউ মিন্ট থো বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উভয়পক্ষ খোলামেলা আলোচনা করেছি। প্রত্যাবাসন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছি।

তিনি আরো বলেন বলেন, প্রত্যাবাসনের জন্য সেখানকার লোকদের  (রোহিঙ্গা) মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এটা বৈঠকে আমরা তুলে ধরেছি।জনসচেতনতা বাড়াতে আমাদের কাজ করতে হবে। এবং আমি মনে করে দুই দেশকেই এ ব্যাপারে যৌথভাবে কাজ করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি ঠিক করতে আমরা বেশি বেশি বৈঠক করছি।

তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠিক কবে নাগাদ শুরু হবে, এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় বৈঠক শেষ হয়। দুই দেশের বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিন্ট থো। আর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয়পক্ষ দ্রুত প্রত্যাবাসনে সম্মত হয়েছি।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যে দুটি অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা জানেন যে (মিয়ানমারের কাছে) আমরা একটি তালিকা পাঠিয়েছিলাম। সেই তালিকা যাচাই করতেও যে যে ইস্যুগুলো এসেছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

‘‘আমাদের দেওয়া তালিকা মিয়ানমার তাদের নিজেদের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই-বাছাই করবে এবং এভাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলবে’’, বলেন শহিদুল হক।

পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক বলেন: প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সবসময় একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে আমরা দু পক্ষই অনুধাবন করতে পারছি যে এটা হওয়া প্রয়োজন। যত দ্রুত সময়ে এটা সম্পন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে আমরা দুপক্ষই কাজ করে যাচ্ছি।

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে মিয়ানমারের দিক থেকে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, আরও কী কী নেওয়ার আছে বা আমাদের পক্ষ থেকে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সে বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব।

‘‘সবচেয়ে ভালো হয়েছে যে আমরা দুপক্ষই অত্যন্ত খোলামেলাভাবে আলোচনা করতে পেরেছি। রোহিঙ্গাদের যাতে দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়া যায় এ ব্যাপারে দুই দেশেরই সম্মতি রয়েছে।’’

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন ও এর টার্মস অব রেফারেন্সের সম্মতিপত্রে সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সম্মতিপত্রে সই করেন দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব।

গত ১৫ জানুয়ারি মিয়ানমারে ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর