সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর সংশয়

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 09:32:56

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের উন্নয়ন হচ্ছে, তবে সমাজের কতটা উন্নয়ন হচ্ছে সে ব্যাপারে আমার নিজেরও কিছুটা সংশয় আছে। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন এখন সমান জরুরি।’

রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বেশিরভাগ মিডিয়ায় নেতিবাচক খবর ও গুজবের ছড়াছড়ি। অনেক ভালো ভালো অর্জন আছে যেগুলো গণমানুষের জানা দরকার, তাদের মাঝে আশা জাগানো দরকার। সামাজিক উন্নয়নে মিডিয়ার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইতোমধ্যেই ঋতু প্রকপ্লের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মতো অতি জরুরি বিষয়ে আপনারা গণসচেতনতা গড়ে তুলেছেন। এ রকম বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু, যেগুলো আমাদের মানবিক ও সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে রেখেছে, সেসব বিষয়ে আপনারাই পারেন সমাজকে এগিয়ে নিতে।’

তিনি বলেন, ‘সবাই যদি একসাথে কাজ করি, তবে আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সম্পূর্ণ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী এ কে এম মহিউল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। দুঃসংবাদ, গুজব, নেতিবাচক সংবাদ মানুষকে বিষণ্ণ করে তোলে। তাই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিভিন্ন ভালো অর্জন, সমাজ সংস্কারক কর্মকাণ্ডকে বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিটের পরিচালক আশরাফুন্নেসা, সভাপতিত্ব করেন রেড অরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী প্রমুখ।

বাংলাদেশের কিশোরীদের আদর্শ মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে তাদের সুস্বাস্থ্য, সার্বিক কল্যাণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ঋতু প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করে। ‘ঋতু’ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল, জনপদ ও নীতি-নির্ধারকদের মাঝে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় ৯০ জন সাংবাদিককে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়, যাতে তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে ঋতু প্রকল্পের কার্যক্রমকে বেগবান করতে পারেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর