মশারি ব্যবহার করেন, মশা কামড়াবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 01:01:40

রাজধানীসহ সারা দেশে চলা ডেঙ্গু জ্বর আতঙ্কের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'আগে মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার করা হতো। আমি সবাইকে বলব আপনারা বাসায় মশারি ব্যবহার করেন। তাহলে আর মশা কামড়াবে না।’

রোববার (২৮ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারে নয়াটোলা এলাকায় একটি শিশু পার্কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল ডেঙ্গু জ্বরের বিষয়ে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মেয়ররা কাজ করছেন। ডেঙ্গু ও এডিস মশা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে মানুষকেও ডেঙ্গু জ্বর ও এডিস মশার বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।'

ডেঙ্গু জ্বরের কোনো প্রতিশোধক নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জানা মতে ডেঙ্গু জ্বরের কোনো প্রতিশোধক নেই। যদি কোনো ডাক্তার বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বলে থাকেন ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিশোধক আছে তাহলে মিথ্যা কথা। এদের কথা বিশ্বাস করা যাবে না।’

এ সময় তিনি গুজব নিয়ে বলেন, ‘গুজব ছড়ানো আগের থেকে কমে গেছে। তবুও আমি গুজবকারীদের বলব গুজব ছড়াবেন না। গণমাধ্যমকেও বলবো কোনো অসত্য তথ্য প্রকাশ করবেন না। সত্য তথ্য প্রকাশ করলে কোনো সমস্যা নেই।’

ডেঙ্গু সংক্রান্ত আরও নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: 'ডেঙ্গু'

একই অনুষ্ঠান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি কেমিক্যাল পরিবর্তন করে মশক নিধনের নতুন ওষুধ আনা যায় কিনা। এ বিষয়ে আমরা একটি বৈঠক করব। মশা মারতে ব্যবহার করা ফগিং মেশিন দ্বিগুণ করা হবে। এছাড়া আমরা চেষ্টা করছি মশা নিধনের বিষয়টি এনালগ থেকে টেকনিক্যালে নেওয়া যায় কিনা।’

তিনি বলেন, ‘মশক নিধনের কর্মীদের আগামী সপ্তাহে থেকে ট্র্যাকিং করা হবে জিপিআরএস'র মাধ্যমে। নাগরিকরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারবেন কোন দিন কোন এলাকায় মশক নিধনের কর্মীরা যাবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০ জন করে মশক নিধন কর্মীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

বিনামূল্যে ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করা যাবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে যে স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে সেখানে বিনামূল্যে আমরা ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি। সকলে সেখানে গিয়ে পরীক্ষা করতে পারবেন। এছাড়া ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে বছরের ৩৫৬ দিনই যেন গবেষণা করা হয় সে বিষয়েও আমরা চিন্তা করছি। এই লক্ষ্যে একটি গবেষণা কেন্দ্র করারও পরিকল্পনা রয়েছে।’

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুমুক্ত এলাকার কাউন্সিলরকে পুরস্কৃত করা হবে: তাজুল

এ সম্পর্কিত আরও খবর