ধরা পড়ার পর সব অপরাধীই নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। তিনি বলেন, এফআর টাওয়ারের নকশা পরিবর্তনের সঙ্গে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ওই মামলায় ২৩ জন আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন দুদক সচিব।
এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিমানের সাবেক এমডি আব্দুল মুনীর মোসাদ্দেক আহম্মেদ নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে বলেন, ‘ডেফিনেটলি (অবশ্যই) আমি কোনো অপরাধ করিনি।'
আরও পড়ুন: নিজেকে নিরপরাধ দাবি বিমানের সাবেক এমডির
একইভাবে গ্রেফতারের পর রাজউকের সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলমকে দুদক থেকে কোর্টে নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের দেখে বলতে থাকেন, ‘আমি অপরাধী নই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। যে কারণে মামলা হয়েছে আমি তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই। বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ছেড়ে দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, ‘দুদক নিরপরাধ কাউকে গ্রেফতার করে না। দুদক তদন্তের স্বার্থে যখন যাকে প্রয়োজন মনে করেন, তখন তাকে দুদকে তলব করেন। অনুসন্ধান শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।’
সচিব বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশের মামলায় সাবেক এমডিসহ এ পর্যন্ত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। এবং এফ আর টাওয়ারে দুদকের মামলায় প্রথম গ্রেফতার হয় সদরুল।
ট্রেন টিকেট কালোবাজারি নিয়ে সচিব বলেন, ‘রেলের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে মামলা করা হবে এবং ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। তবে এখন আপাতত প্রতিরোধমূলক কিছু ড্রাইভ দেওয়া হচ্ছে। এতে বেশ ফলাফলও আসছে।