হাটে ক্রেতার চেয়ে গরু বেশি

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর | 2023-09-01 21:26:02

ঈদুল আজহার বাকি আরও ১২ দিন। এরই মধ্যে রংপুর জেলার হাটগুলোতে কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তবে বন্যার কারণে এখনো জমে উঠেনি হাট। ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে বন্যা পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন হাট ইজারাদাররা।

বর্তমানে রংপুরের আট উপজেলার প্রসিদ্ধ হাটগুলোতে স্থানীয় খামারি ও ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু তোলা শুরু করেছেন। এসব হাটে গরু ছাগলের পাশাপাশি মহিষ ও ভেড়া রয়েছে। তবে আশানুরূপ বেচাকেনা শুরু না হওয়ায় হতাশায় আছেন ব্যবসায়ীরা। হাটগুলোতে এখন ক্রেতার চেয়ে পশুর সংখ্যা বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারো রংপুরে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য তারাগঞ্জহাট, বদরগঞ্জহাট, বড়াইবাড়ীহাট, লালবাগহাট, বুড়িরহাট, চৌধুরানীহাট, নজিরেরহাট, নিসবেতগঞ্জহাট, পাওটানাহাট, কান্দিরহাট, দেউতিহাট, টেপামধুপুরহাট, মিঠাপুকুরহাট, বৈরাতিহাট, জায়গীয়হাট, শঠিবাড়ীহাট, বালুয়াহাট, মাদারগঞ্জহাট ও ভোবাড়ীহাটসহ রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার পশুর হাটগুলোতে কোরবানির জন্য গরু ছাগল বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এসব হাটে স্বাভাবিকভাবে যে গরুর আমদানি হয়, তার চেয়ে এবার কিছুটা বেশি রয়েছে। কিন্তু এখনো ক্রেতারা হাটে সেভাবে ভিড়েননি।

হাটইজারাদার বলছেন, বন্যাকবলিত পার্শ্ববর্তী এলাকার খামারিরা পশুখাদ্যের সংকটে দ্রুত তাদের পশু বিক্রি করতে গরু হাটে তুলছেন। তাই পশুর আমদানি তুলনামূলক বেশি হলেও ক্রেতার উপস্থিতিতে এখনো সরব হয়ে উঠেনি হাটগুলো।

ক্রেতারা বলছেন, হাট জমে উঠার আগে গরু কিনলে দামে কিছুটা লাভবান হওয়া যায়। কিন্তু এবার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও এখনো অনেক এলাকায় পানি রয়েছে। এ কারণে আগেভাগে গরু কিনে কোথায় রাখবে, এ নিয়ে চিন্তিত তারা।

অন্যদিকে পশুর মালিকরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় বসে আছেন। তাদের মতে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সামনে আরও অনেক হাট পাওয়া যাবে। তখন বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। তবে বিক্রেতাদের কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, ঈদের আগে পশুর দাম কমেও যেতে পারে।

পীরগাছার দেউতিহাটে কথা হয় আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ীর সাথে। তিনি জানান, গত বছরের চেয়ে হাটে পশুর আমদানি বেশি। দামও বেশি। গত বছর যে গরু ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। এবার তা ৬০ হাজার টাকায়ও মিলছে না। ছাগলেরও দাম বেশি মনে হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর