ভোলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । গত দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে ২৬ এ দাড়িয়েছে। যাদের মধ্যে ১৯ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেলেও এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে ৭ জন। জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গ্রামে-গঞ্জে প্রচার-প্রচারণা, শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা ও বিভিন্ন ব্যানার-পোস্টার লাগানো হয়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জেন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, ইতিমধ্যে ভোলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলায় এক হাজার ২২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। যেখানে ২ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৬ জন শিক্ষাথীকে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরো ১ হাজার ৪টি বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সরকারি ভাবে ১২০ টি ডেঙ্গু প্রতিরোধে কিডস পাওয়া গেছে। জেলা সর্বশেষ ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ৭ টি উপজেলায় ডেঙ্গু সেল গঠন করা হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা দেয়া হচ্ছে। যারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে সবাই ঢাকা থেকে এসেছে বলে তিনি জানান।
সিভিল সার্জন অরো জানান, জেলার ৬ শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করছে। ভোলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য এন্টিজেন্ট টেস্টের ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
এদিকে ভোলা জেলাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জেলা হিসাবে গড়ার লক্ষ্যে শনিবার (৩ আগষ্ট) ভোলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক এর সভাপত্বিতে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন, সিভিল সার্জেন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান, ভোলা পৌরসভার কাউন্সিলর মো: শাহ আলম প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, সকলেরর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমরা আমাদের বাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নিজ নিজ এলাকা নিজেদের পরিষ্কার করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ আগষ্ট থেকে একযোগে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি, বেসরকারি অফিস,পৌরসভা থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একযোগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করবে।
যদি কেউ তার অঙ্গিনা বা অফিস আদালত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন না করে তাহলে তাকে পরিবেশ আইনে ৬ মাসে কারাদণ্ড দেয়া হবে।