'মশা নিধনে কাজ না করে ছবি পাঠালে কঠোর ব্যবস্থা'

রাজশাহী, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী | 2023-08-27 05:23:38

রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেছেন, ‘লোক দেখানো মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এবং কাজ না করে ছবি ও তথ্য পাঠানো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার নয় উপজেলার কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকদের সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভায় জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।

ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর, বাঘা, দূর্গাপুর, চারঘাট, পুঠিয়া, পবা ও বাগমারার উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।

হামিদুল হক বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে উপজেলা পর্যায়ে কেউ যাতে চিকিৎসার অভাবে মারা না যায় সেদিকে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে আমার অনুরোধ, যদি কারও কাছে এমন তথ্য থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার কর্মকর্তাদের জানাবেন। আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এডিস মশার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। কিন্তু এডিস প্রতিরোধের বড় উপায় হলো নিজ নিজ বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। এ জন্য সরকার সারাদেশে একযোগে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

ডিসি আরও বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে। তবে যতদিন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব না কমবে ততদিন সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সচেতনতামূলক পরামর্শ অব্যাহত রাখা।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কোনো প্রকার ত্রুটি দেখলেই সাংবাদিকরা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে তা শুধরে দেবেন, এটাই প্রত্যাশা করি। তবে ব্যক্তিদ্বন্দ্বে কারও বিপক্ষে লিখবেন না। সমাজের সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকরা সহায়ক হয়ে উঠবেন বলে আশা করি।’

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন, রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক আজমল কবির পলাশ উপস্থিত ছিলেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহী জেলার নয় উপজেলার নির্বাহী অফিসার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিকরা অংশ নেন। এতে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর