ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় এক কিশোরীকে (১৬) গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি জহিরুল ইসলাম (২০) জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কালাদহ এলাকায় এ বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (৫ জুলাই) সকালে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কালাদহ ঈদগাহ’র সামনে ধর্ষণকারীরা অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করতে সেখানে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে আসামিরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকা তল্লাশিকালে একটি পাইপগানসহ আহত অবস্থায় জহিরুলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, গত শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে জহিরুল ইসলাম অটোভ্যানে বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে আছিম ইউনিয়নের কুটিরা গ্রামে নিয়ে যায়। জহিরুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। বেড়াতে গিয়ে সন্ধ্যায় ওই গ্রামের একটি আকাশি বাগানে প্রথমে প্রেমিক সিরাজুল তাকে ধর্ষণ করে। পরে সে তার দুই বন্ধু সাইদুল ও ফারুকের হাতে কিশোরীটিকে তুলে দেয়। ফারুক ও সাইদুল মেয়েটিকে একটি আখক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সিরাজুল ও তার বন্ধুরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর কিশোরীর জ্ঞান ফিরলে সেখান থেকে এসে বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে রোববার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করে।