মাদক-চোরাচালান রোধে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-ভারত

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-24 00:43:58

মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ভারত। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়েও সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

বুধবার (৭ আগস্ট) ভারতের নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্।

আলোচনা সভার শুরুতে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

বৈঠকে কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এ উদ্দেশে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার উপর গুরুত্ব দেন। বাংলাদেশের সীমানা ও ভূমি ব্যবহার করে কোনো সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যাতে ভারতসহ অন্য কোনো দেশের ক্ষতি সাধন করতে না পারে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত নীতির প্রশংসা করেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্।

এ সময় আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন দুই মন্ত্রী।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ২০১৭ সাল থেকে চার কিস্তিতে ভারত সরকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতা প্রদান করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ সকল বিষয়ে দুই দেশ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে দুই দেশের মন্ত্রীরা সভায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্কে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।

সভায় ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দলের অন্যান্যরা হলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মোঃ শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. মোঃ জাবেদ পাটোয়ারী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সোহাইল হোসেন খান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহম্মেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুবকর সিদ্দীক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক নীলিমা আক্তার, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জনাব মোঃ তারেক প্রমুখ।

ভারতের পক্ষে অন্যাদের মধ্যে ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি, ইউনিয়ন স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব গৌভা ও সচিব (সীমান্ত ব্যবস্থাপনা) বি আর শর্মা প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর