ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের (বিটিসিএল) ২১৫টি টেলিফোন সংযোগ বিকল হয়ে গেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সংযোগ বিকল থাকলেও প্রতিমাসে গ্রাহকের নামে নামে বিল আসছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, যান্ত্রিক ত্রুটি, জরাজীর্ণ লাইন ও কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে টেলিফোন সংযোগগুলো বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিকল সংযোগ মেরামত করছেন না। উল্টো প্রতিমাসে গ্রাহকের নামে বিল পাঠাচ্ছে। গ্রাহক বাধ্য হয়ে বিকল সংযোগের সেই বিল পরিশোধ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ও আঠারবাড়িতে দুটি ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জের ১৫০টি সংযোগের মধ্যে সচল আছে ৪০টি সংযোগ। আঠারোবাড়িতে ১৩৫টি সংযোগের মধ্যে সচল আছে ২০ টি সংযোগ।
আঠারোবাড়ি এলাকার গ্রাহক আনোয়ার হোসেন মাসুদ বলেন, আমার টেলিফোন সংযোগ বিকল হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু প্রতিমাসে ৯২ টাকা বিলের কাগজ আসছে। অন্যান্য গ্রাহকদেরও একই অবস্থা। বিষয়টি সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
আঠারোবাড়ি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সহকারী লাইনম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সংযোগ চালু করতে না পারায় আমি নিজেও গ্রাহকদের চাপের মুখে থাকি। দ্রুত সংযোগ চালুর বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এদিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় ১৫০টি সংযোগের মধ্যে সরকারি কয়েকটি অফিস ছাড়া বাকি সব সংযোগ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জ থানা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সরকারি কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানেও বিকল টেলিফোন সংযোগ। কিন্তু প্রতিমাসে ঠিকই বিল হচ্ছে। টেলিফোন সংযোগ চালু করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দিলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, অন্তত ৩ বছর ধরে কলেজের সংযোগটি বিকল হয়ে রয়েছে। তিনি অনেক যোগাযোগ করেও সংযোগটি চালু করতে পারেননি। টেলিফোন সংযোগ প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে জানার জন্য টেলিফোন বিভাগ ময়মনসিংহ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী খোকন চন্দ্র দাসের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।