জমে উঠেছে পশু সাজানো সামগ্রীর ব্যবসাও

ঢাকা, জাতীয়

তোফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-29 09:07:18

আর মাত্র দুইদিন পরে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো জমতে শুরু করেছে এবং বেড়েছে বেচাবিক্রিও। এর পাশাপাশি অনেক ব্যবসায়ীরা তাদের গরুটিকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে নানা ভাবে সাজাচ্ছে।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট গাবতলী গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ধারে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশু সাজানোর নানা ধরনের জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। তারা পশু সাজানো ফিতা, মালা, রশি, বাঁশের লাঠি ও গোখাদ্য সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করছেন।

গাবতলীর পশুর হাট ঘুরে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে গাবতলীর এই হাটে এ ধরনের কোনো দোকান থাকে না। তবে এখন কোরবানির ঈদ হওয়ায় গরুর চাহিদা বেশি রয়েছে। ফলে হাটে অস্থায়ী পশু সাজানোর দোকানের সংখ্যা অগণিত।

গাবতলী হাটে পশু সাজানো জিনিসপত্র বিক্রি করা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'আমি মূলত কাপড়ের ব্যবসা করি। কিন্তু কোরবানির ঈদ হওয়ায় কাপড়ের চাহিদা কম। তাই এখন গরু সাজানোর নানা ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি করছি। গরু বিক্রি যত বাড়ছে, আমাদের বেচাবিক্রিও তত বাড়ছে।’

একই হাটের আরেক ব্যবসায়ী রমজান আলি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘পশু সাজানো জিনিসপত্রের ব্যবসা বেশ ভালোই চলছে। এসব জিনিসপত্রের চাহিদা আছে। আমার দোকানে ৫০ থেকে ২০০ টাকা দামের মধ্যে মালা আছে। এসব মালার মান ভেদে দামের তফাত আছে। এছাড়া গরু তাড়ানো লাঠি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। গরুর রশি ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।’

কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'বাড়তি লাভের আশায় গ্রাম থেকে শহরে গরু নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ গরু বিক্রি করে ফেলেছি। আর ৪টা গরু বিক্রি হতে বাকি আছে। ঈদের আগে সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

গরু সাজানোর বিষয়ে তিনি জানান, গরু সাজিয়ে রাখলে ক্রেতা দ্রুত আকৃষ্ট হয়। কাছে এসে গরুর দাম জানতে চায়। আর পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যায়।

মিরপুর থেকে গরু কিনতে আসা পল্লব মোস্তফা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'আমি ৯০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছি। গরু যেন সুন্দর দেখা যায় সেজন্য একটা মালাও কিনেছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর