টাঙ্গাইলে ঠাঁয় দাঁড়ানো সেতুমুখী যানবাহন

বিবিধ, জাতীয়

 সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-30 18:12:04

দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) থেকে:  দুই ঘণ্টায় দু'দফায় একশ মিটার গড়িয়েছে গাড়ির চাকা। বলা চলে প্রায় ঠাঁয় দাঁড়ানো বঙ্গবন্ধু সেতুমুখী সকল ধরণের যানবাহন।

দিনের বেলা এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা নজীরবিহীন। অতীতে দিনে থেমে থেমে চলেছে, নজরদারির ঘাটতি থাকায় রাতের বেলা এমন দীর্ঘ সময় ধরে জট লক্ষ্যণীয় ছিলো। কিন্তু এবার অবাক করে দিয়ে জট চিরাচরিত ব্যাকরণকেও হার মানিয়েছে।

গুগলম্যাপ বলছে ৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সেতুতে পৌঁছতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। যদিও এই পেডিকশনের পারদ সময়ের ব্যবধানে আরও বাড়তে পারে। যে বাসগুলো এখন টাঙ্গাইল এলাকায় অবস্থান করছে। এই বাসের যাত্রীদের বাস পেতেই ১০ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে।

এখন রাস্তায় এসেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না তাদের। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাথার উপর চড়া রোদ। এসির তাপমাত্রা ১৮ সেটিং করেও গাড়ি শীতল হচ্ছে না। বাইরের তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। রিয়েল ফিলিং আরও বেশি। বাতাস নেই বললেই চলে।

নন এসি বাসের যাত্রীদের ত্রাহি অবস্থা। গাড়ির মধ্যে পুরুষরা অনেকে গায়ের কাপড় খুলে সেই কাপড় দিয়ে বাতাস করার চেষ্টা করছেন। তবুও দরদর করে ঘামছেন অনেকে। এ অবস্থার মধ্যেও অনেকে ট্রাকে পিকআপে করে যাত্রা করেছেন বাসের টিকেট না পেয়ে। তারা কেমন আছেন সে প্রশ্ন এখানে বাহুল্যতা।

সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় রয়েছে নারী শিশুরা। না আছে খাবারের ব্যবস্থা,  না আছে টয়লেটে যাওয়ার কোনো সুযোগ। ট্রাকে যাত্রীদের অনেককে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা গেছে। সঙ্গীরা তাদের মাথায় পানি ঢেলে এবং হাতপাখার বাতাস দিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে ঢাকা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি চলনসই বলতে হয়। ধীরগতি লক্ষ্যণীয় হলেও দেলদুয়ারের মতো আটকে থাকতে হচ্ছে না।

আরও পড়ুন, 

রাতের বাস মিলবে সকালে, দিশেহারা ঘরমুখো মানুষ

এ সম্পর্কিত আরও খবর