গাবতলী গরুর হাট থেকে: ঈদুল আজহার বাকী আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। শেষ মুহূর্তে পশুর হাটগুলো এখন ক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট। গত কয়েকদিনের তুলনায় গরু বিক্রি বেড়েছে গাবতলীর পশুর হাটে। ছোট, মাঝারি গরু বিক্রির সঙ্গে বেড়ে গেছে বড় গরুও বিক্রি।
রোবাবর (১১ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে গাবতলী গরুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
গরুর ব্যাপারী ও ব্যবসায়ীদের মতে, কয়েকদিনের তুলনায় গরুর দাম পড়ে গেছে। ক্রেতার সংখ্যা কম, চাহিদা মোতাবেক দামে ক্রেতাদের সাড়া না পাওয়ায় দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, ব্যাপারীরা গরুর আকাশ কুসুম দাম চেয়ে বসে ছিলেন এতোদিন। তাই ক্রেতাদের তেমন সাড়া পান নি। তবে আজকে বাজার তুলনামূলক কম।
গাবতলী গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। সে তুলনায় হাটে গরু প্রচুর। খুঁটিতে বাঁধা গরুকে ঘিরে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষি। আর শেষ মুহূর্তের ঝুঁকি না নিয়ে অল্প লাভেই গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী পলাশ জানান, আজকে দুপুর পর্যন্ত গরুর ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। গতকাল যে গরুর দাম ৪ লাখ টাকা চেয়েছি আজ সেটা আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।
কমদামে গরুর বিক্রির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরু নিয়ে আসতেও খরচ হয়েছে, এখানে থাকতেও খরচ হয়েছে। এখন গরু বিক্রি না করে যদি ফেরত নিয়ে যাই তাতেও খরচ হবে। মানে চারদিক থেকেই লোকসান।
মহসিন রহমান নামের এক ক্রেতা জানান, গাবতলী গরুর হাটে গরুর অভাব নেই। তারপরও বেশি লাভ করার জন্য ব্যাপারীরা গরু বিক্রি করছেন না। তাদের চাওয়া দাম আকাশ কুসুম।
ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাটে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর চাহিদা বেশি। দুই থেকে তিন মণ ওজনের গরু ৭০থেকে ৭০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এসব গরুর ক্রেতা বেশি।