বস্তির আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার পরিবার, অনুসন্ধান চলছে

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-25 00:20:13

মিরপুর-৭ এর চলন্তিকা মোড়ের ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫০০ থেকে ৬০০ টি ঘর পুড়ে গেছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মোট পরিবারের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড: বাতাসে এখনো পোড়া গন্ধ

তিনি বলেন, ‘চলন্তিকা মোড়ের বস্তিতে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ সম্ভব হয়েছে।’

বস্তির আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সবগুলো ঘরই ছিল কাঁচা। এর ফলে কিছু ঘর দেবে গেছে এবং ঘরের চালা চাপা পড়েছে। এজন্য এসব ধ্বংস স্তূপ অপসারণে আমাদের সময় লাগছে। এসব অপসারণ করে ভেতরে কোনো ভিকটিম আছে কিনা আমরা সার্চিং করে দেখছি। আগুনে প্রায় ৫০০-৬০০ ঘর পুড়ে গেছে আর এতে প্রায় তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগুনের উৎস আমরা এখনো বের করতে পারিনি। তবে আগুনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। অনুসন্ধান শেষে আগুনের উৎস নিশ্চিত করে বলা যাবে।’

আরও পড়ুন: সন্তান কোলে নিয়ে অনাগত ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা ইয়াসমিনের

আগুন নেভাতে প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রধান সমস্যা বস্তির এন্ট্রি পয়েন্ট এবং সরু গলির কারণে বস্তি পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যায়নি। যার ফলে ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ঘরগুলো কাঁচা এবং ঘরগুলোর মধ্যে কোনো সেপারেশন ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পানির সংকট ছিল। আমরা গাড়ির মাধ্যমে এবং আশে-পাশের গার্মেন্টস থেকে পানি নিয়ে কাজ করেছি। আগুনটি আশে-পাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু সেটি আমরা রোধ করতে পেরেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কেউ গুরুতর নয় এবং কেউ দগ্ধ হয়নি।

ঘটনার বিস্তারিত তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর