কাশ্মীর নিয়ে কোনো বিব্রতকর প্রশ্ন করেনি ভারত

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-30 17:03:57

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, 'কাশ্মীর সম্পর্কে তারা (ভারত) আমাদের কাছ থেকে কিছু জানতে চায়নি। তারা এ নিয়ে আমাদের বিব্রতকর কোনো প্রশ্ন করেনি। এটা তাদের ব্যাপার-স্যাপার। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন এবং মানুষের প্রত্যাশা চাই।'

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে...

ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তে মৃত্যু:

'ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আমাদের কিছু লোক মেরে ফেলে। আমরা চাই, একটা লোকও যেন না মরে। ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা এটা বন্ধের চেষ্টা করবে। তারা বলেছে এ সংখ্যা কমেছে। সম্প্রতি দুএকটি ঘটনা ঘটেছে। তারা অবশ্য বললেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে সুপারি চুরি করতে গেছে। গরু চুরি করতে গেছে। তখন ভারতের গ্রামবাসী তাদের মেরে ফেলেছে। ভারতে নিরাপত্তা বাহিনী মারেনি। আমরা বলেছি, ডাজ নট ম্যাটার। আমরা চাই না, আমাদের দুই দেশের এত উষ্ণ সম্পর্ক থাকতে একটি প্রাণীও যাতে এভাবে নিহত না হয়। তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা বলেছে, চেষ্টা করবে।'

রোহিঙ্গা ইস্যু:

'বৈঠকে বলেছি, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে বড় কষ্টে আছে। ভারত বলেছে, জাতীয় নাগরিক পুঞ্জী (এনআরসি) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কোনো মাথা ব্যাথার কারণ নেই।'

তিস্তা ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক:

'বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদী আছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি বড় নদী, সেগুলোর ৭টির মধ্যে ৬টিতে সমঝোতায় এসেছি। তিস্তা চুক্তি বিষয়ে ভারত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা অঙ্গিকারবদ্ধ যে, এটির সমাধান হবে। দিনকাল বলা যাবে না। তবে তারা অঙ্গিকার করেছে, এটি সমাধানের সব রকমের কাজ চালু আছে।
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য কয়েক বছরে বেশ বেড়েছে। তবে বৈষম্য আছে। আমরা ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ভারত থেকে আমদানি করি আর রফতানি করি এক বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশের ২১টি আইটেম ভারত গ্রহণ করেছে। আরো ৬টি আলোচনা করে গ্রহণ করবে।'

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায় ভারত

'বাজারে একটা কথা আছে ভারত বুঝি আমাদের খুব চাপ দিচ্ছে। কিন্তু কোনো চাপ দিচ্ছে না। এবারে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন ছিল সৌজন্যেমূলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ অক্টোবর দিল্লি যাচ্ছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়ান চ্যাপ্টার বা রিজিওনাল এজেন্ডা ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সামিটে তার অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এই ফোরামের যোগদানের পাশাপাশি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবার সম্ভবনা রয়েছে। সে বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।'

আরও পড়ুন: ‘দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে কাজ করব’

'ভারত বেশ কিছু ঋণ দিয়েছে। এর কোনটা কোথায় আটকে আছে সে বিষয়ে আপডেট নিয়েছে। ত্রিপুরা আমাদের থেকে এলএনজি কিনবে। আমরা আরও বিদ্যুৎ কেনার কথা বলেছি। আমরা বলেছি নেপালের সঙ্গে পরিবর্তনশীল জ্বালানি প্রকল্প করতে চাই। তাদের সম্মতি জানতে চাইলে তারা বলেছে, ভারতের ত্রিদেশীয় সম্মতি আছে।
ভারতকে বলছি, আমাদের নদীবন্দরগুলো ব্যবহার করতে। তারা সম্মতি জানিয়েছে। সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশকে ভারত সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাবে।'

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর