এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার তিনটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং দশ বাড়ির মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) ডিএসসিসির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। স্টান্ডার্ড বিল্ডার্সসহ তিনটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং দশ বাড়ির মালিকদের মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ডিএসসিসি’র মোবাইল কোর্ট।
অভিযানে মোট ২৪১টি বাড়ি / নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। এরমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড বিল্ডার্সসহ ৩টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১০টি বাড়িতে এডিস মশার প্রজনন সহায়ক পরিবেশ পাওয়ায় ২০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে মোবাইল কোর্ট ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কাঠাঁলবাগান এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ২৮টি বাড়ি পরিদর্শন করা হয়। এরমধ্যে ২২২ কাঠাঁলবাগানে নির্মাণাধীন স্টান্ডার্ড বিল্ডার্সের ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের অন্য একটি বাড়িতে এডিসের প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাবর আলির নেতৃত্বে পরিচালিত এডিসের লার্ভা ধ্বংস অভিযানে আজিমপুর মধ্য কলোনীতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণাধীন নূরানী কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার মো. সোহেল এবং পদ্মা কনস্ট্রাকশন এসোসিয়েটসের সাইট ইন্জিনিয়ার শ্রীমোহন সাহা উভয়কে পৃথক পৃথকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অন্যুদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উদয়ন দেওয়ানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৬০টি বাড়ি এবং দুটি কলেজ পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে সুবাস বোস এভিনিউতে ৪৫/এ নম্বর হোল্ডিংয়ে পানি জমে থাকার কারণে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ।
এছাড়া অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন দয়াগঞ্জের হোল্ডিং নং ২৮’কে ৫ হাজার টাকা এবং আরকে মিশন রোডের হোল্ডিং নং ১৩’কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।