ছুটিতে তিন বিচারপতি

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 16:22:14

অসদাচরণের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বিরত রাখার সিদ্ধান্ত ওই তিন বিচারপতিকে অবহিত করার পর তারা ছুটি চেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনের পক্ষে স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, 'বিচারপতিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচার কাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে তারা ছুটি প্রার্থনা করেন।' বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে নিজ কক্ষে সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।

হাইকোর্টের বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় তিন বিচারপতির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ কার্যতালিকা করে বিচারপতিদের এখতিয়ার ও অধিক্ষেত্র ভাগ করে দেন। 

আগের দিন বুধবার ওই তিন বিচারপতির বেঞ্চ ও এখতিয়ার ছিল। তারা দেওয়ানি মামলার রুল ও আবেদন শুনতেন।

মূল ভবনের ১০ নম্বর এজলাসে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপ বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ দ্বৈত বেঞ্চে বসতেন।  বিচারপতি কাজী রেজাউল হক মূল ভবনের ৬ নম্বর এজলাসে এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক অ্যানেক্স ভবনের ৩০ নম্বর এজলাসে বসতেন।

বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ২০০২ সালের ২৯ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতির শপথ নেন তিনি।

বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হন তারা।

এর আগে গত ১৬ মে নিম্ন আদালতের মামলায় ডিক্রি বাতিলের অভিযোগ উঠে হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহুরুল হকের বেঞ্চের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানিতে রায় বাতিলের এ অভিযোগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গণমাধ্যমে তখন বিষয়টি প্রকাশ হলে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী বিচারধীন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।  পরে গণমাধ্যমের দাবির প্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর