ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংসে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) পর্যন্ত ৬৫৮টি বাড়ি পরিদর্শন করে ৫৬ বাসায় এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
এডিস মশা নির্মূলের লক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড থেকে ১১৩নং সড়ক পর্যন্ত ‘এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসকরণ ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ (চিরুনি অভিযান) চালানো হয়। এ সময় ১১৩নং সড়কে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এবং ‘হাশেম ইলেকট্রিক’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের ছাদে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ রাখ টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া ১১৫নং সড়কে ‘হারমোনি হোল্ডিংস’র ছাদে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার চিরুনি অভিযানে ২৬১টি বাড়ি পরিদর্শন করে ১৮টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ বাড়িগুলোর সামনে ‘সাবধান, এ বাড়িতে/প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়াছে’ লেখা স্টিকার লাগানো হয়। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৯নং ওয়ার্ডের (গুলাশান-বনানী) মোট ৬৫৮টি বাড়ি পরিদর্শন করে ৫৬টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
এছাড়া এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বারিধারা জে ব্লকে ‘গালফ অটো কারস লিমিটেড’র মালিককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সগীর হোসেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
মিরপুরের টোলারবাগে পরিত্যক্ত টায়ারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি দোকানের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ।
ভাষানটেকে চারটি দোকানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শফিউল আজম প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ মিয়া সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বারিধারা ‘জে’ ব্লকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৩টি দোকানের ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় এবং ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার অপরাধে সর্বমোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।