পুলিশ পরিচয়ে মহাসড়ক থেকে অপহরণ!

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 22:39:22

পদ্মা নদী পাড় হয়ে কাঠালবাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর পুলিশ পরিচয়ে টর্চ লাইট জালিয়ে সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামানো হয়। থামতেই গাড়িসহ মহাসড়ক থেকে অপহরণ করা হয় এনায়েত উল্লাহকে।

পরবর্তীতে গাড়ি বাদেই মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে অপহৃত এনায়েত উল্লাহ (৩২) সম্পর্কে এসব তথ্য দেন র‍্যাব ৪'র সিইও অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হোসেন।

অপহরণের বর্ণনা দিয়ে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘৪ দিন আগে মিরপুর এলাকা থেকে ২ জন লোক যাত্রীবেশে এনায়েত উল্লাহর গাড়ি ভাড়া করে। এনায়েত উল্লাহ গাড়ি নিয়ে পদ্মা পাড় হয় রাত আনুমানিক ২ টার দিকে।’

কাঠালবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে সেখানে মহাসড়কে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সিগন্যাল দেন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়দানকারী ভুয়া তিন সদস্য।

আহত এনায়েত উল্লাহ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

র‍্যাব জানায়, এই অপরাধী চক্রের তিন সদস্য সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।

পরে ভিকটিমকে মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়া চর এলাকার কাশবন এর পাশে একটি ছোট ঘরে আটকে রাখে। প্রাইভেটকারটি ফরিদপুরের আটরশি জাকের মঞ্জিলের পার্কিংয়ে রাখে।

র‍্যাব ৪'র এই প্রধান বলেন, ‘অপরাধী চক্রের সদস্যরা ভিকটিমের বাড়িতে ফোন দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, না হলে তাকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এসময় ভিকটিমকে পিটিয়ে তার বাবা মার কাছে ফোন দিয়ে কান্নার শব্দ, চিৎকার শোনায়।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে অপহরণ, দুর্গম চর থেকে উদ্ধার

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ওই মোবাইল ফোন নাম্বারের জের ধরে ৫২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিমকে মুক্ত ও ফরিদপুর থেকে প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করে র‍্যাব।

এ সময় অপহরণকারীর চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে র‍্যাব। আটককৃতরা হলেন, শাহ জালাল (৩২), ফয়সাল (২২), জয়নাল হাজারী (৩০), রাকিব (২২)।

র‍্যাব ৪'র সিইও অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হোসেন প্রেস ব্রিফিং করছেন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা জানায়, ভিকটিমকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে, মৃত্যুর ভয় দেখায়। পরে তাকে ও গাড়িটি পৃথকভাবে পূর্বনির্ধারিত নিরাপদ স্থানে রাখে।

শারীরিক অত্যাচার করে ভিকটিমের বাবা-মা আত্মীয়দের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। না দিলে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এর আগেও তারা এইভাবে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়েছে বলে স্বীকার করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর