আগস্টের নৃশংসতার কথা শুনলেন বিদেশি কূটনীতিকরা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-23 16:19:14

দেশের ইতিহাসে কলঙ্ক হয়ে থাকা ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের নৃশংসতার কথা ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেছে আওয়ামী লীগ। এ সময় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হয়।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয় উপ-কমিটি আয়োজিত 'বাংলাদেশের ওপর ১৫ আগস্টের প্রভাব' শীর্ষক সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।

সেমিনারে কূটনীতিকদের সামনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা দেন সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহমান শেখ (রমা)।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানো বাংলাদেশে কতটা প্রভাব ফেলেছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কৃষি নির্ভর এই দেশে কৃষকদের স্বার্থে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালে দেশে ফেরার পর থেকে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষি ও শিক্ষা খাতে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন হবার পর তার সংবিধান তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় ১১ বছর। ভারতে সংবিধান তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় তিন বছর। পাকিস্তানেরও প্রথম সংবিধান তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৯ বছর। সেখানে মাত্র ৯ মাসে আমরা সংবিধান তৈরি করতে পেরেছি শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে।’

আলোচনা শেষে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সাথে কথা বলছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বঙ্গবন্ধুর একজন খুনিকে হস্তান্তর করেছে। আশা করছি বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীর আগে যুক্তরাষ্ট্র আত্মস্বীকৃত খুনিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকরা। তারা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতাদের একে এক হত্যা করেন। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলে আরেকটি পাকিস্তান রাষ্ট্র তৈরি, কিন্তু তারা সফল হয়নি।’

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী
ব্যারিস্টার শাহ আলী ফারহাদ ও উপ-কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও জাপানসহ ৩০টি দেশের কূটনীতিকরা। আলোচনা শেষে কূটনীতিকরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্মারকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর