গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করা নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে জেগে ওঠা একটি রাষ্ট্রকে পাকিস্তানি রাষ্ট্রের ভাবধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল।’
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে সেগুনবাগিচায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যকর প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রেজাউল করিম বলেন, '১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ খুব বেশি দূরে না। এ সময় অনেকগুলো রাষ্ট্র আমাদের স্বীকৃতি দেয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়, সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদকে ক্ষত-বিক্ষত করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর ষোলকলা পূর্ণ করলেন, নিজামী, সাঈদী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মতো যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও শহীদের রক্ত খচিত পতাকাকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করলেন। একইভাবে স্বাধীনতা ধ্বংস করার পাঁয়তারা জিয়ার আমল থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার আমল পর্যন্ত চালানো হয়েছে। এরশাদের আমলে সেটি আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে ছিল।’
তিনি আরো বলেন, 'শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এসে রাজপথে সংগ্রাম করে ২১ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। এখান থেকে ইতিহাসের চাকা আবার ঘুরতে থাকে। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তবে আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। ৩৪ বছর পর তিনি তার বাবার হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। অপরদিকে, খালেদা জিয়া স্বামী হত্যার বিচার করেননি। বিচার না করলে অপরাধীরা আরেকটা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়।’
'ভাগ্যের কি পরিহাস, আজ পার্লামেন্টে বিএনপির মাত্র সাতজন সদস্য। যারা সেদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেনি, বিশেষ আইন পাস করেছিল বিচার বন্ধ করতে, এখন সেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় কারাগারে। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে তার ছেলে তারেক এখন বিদেশে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ১৫ ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা,’ যোগ করেন রেজাউল করিম।
শোক দিবসের আলোচনা সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।